সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Smoking
 
রামপাল বিরোধীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
রামপাল থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত পদযাত্রা করেন
প্রকাশ: ০৫:৪২ pm ২৮-০১-২০১৭ হালনাগাদ: ০৫:৪৭ pm ২৮-০১-২০১৭
 
 
 


রামপাল কয়লাভিত্তিক ওই বিদ‌্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রামপাল গিয়ে দেখে আসুন কতদূর ওখান থেকে সুন্দরবন। আমি তো বলব রামপালের ওখান থেকে পদযাত্রা শুরু করেন সুন্দরবন পর্যন্ত। তাহলে জানতে পারবেন সুন্দরবন কতদূর।”

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) ৫৭তম কনভেনশনের উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সুন্দরবনের জন্য যারা কাঁদছেন, তারা মানুষের জন্য কাঁদছেন না। তারা সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জন্য কাঁদছেন।’

রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করলে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা রামপাল নিয়ে আন্দোলন করছেন, তারা জানেনই না রামপাল থেকে সুন্দরবন কতো দূরে। রামপাল থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত পদযাত্রা করে তারা এই দূরত্ব দেখে আসতে পারেন। রামপাল নিয়ে যারা আন্দোলন করছেন, তাদের আরেকটা অনুরোধ করব, তারা যেন সুন্দরবনে যান, রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সাথে দেখা করে তাদের জিজ্ঞেস করেন, তাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি না?  এটুকু যদি তারা করেন, যদি গিয়ে দেখে আসেন, একটা রিপোর্ট দেন, আমরা তাহলে বিবেচনা করতে পারি।  তারা ঢাকায় বসে আন্দোলন করেন, তারা কিন্তু জীবনেও কখনো রামপাল যাননি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রামপালে যখন আমরা কাজ শুরু করি, তখন রাস্তাঘাট কিছুই ছিল না।  একমাত্র নৌপথে যাওয়া যেত।  এখন আস্তে আস্তে রাস্তাঘাট হচ্ছে।  একসময় তাদের হেলিকপ্টারে রামপাল দেখানো হয়েছে।  হেলিকপ্টারে দেখালে তো বুঝবে না।  এজন্য রামপাল স্থানটা দেখে ওখান থেকে পদযাত্রা করুক সুন্দরবন পর্যন্ত। তাহলে তারা রামপাল থেকে সুন্দরবনের দূরত্ব কতটুকু তা তারা বুঝতে পারবেন।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র রামপালে হচ্ছে, এটা কিন্তু সুন্দরবনে হচ্ছে না।  আর সুন্দরবন সেখান থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে পশুর নদীর তীরে। সুন্দরবনের যে অংশ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে সেখান থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে।  কাজেই সেখানে কোনো ক্ষতি হবার আশঙ্কা নেই।’

আইইবির সভাপতি কবির আহমদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে কনভেশনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর। এ ছাড়া আইইবি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভাপতি এবং ৫৭তম কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান সাদেক মোহাম্মদ চৌধুরী ও সম্মানিত সম্পাদক প্রবীর কুমার সেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

কনভেনশনে রাষ্ট্র এবং সংগঠনের নানামুখী অবদানের জন্য ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. এম হাবিবুর রহমান এবং পদ্মাসেতু প্রকল্পের কর্মকর্তা মেজর জেনারেল আবু সা‌ঈদ মোহাম্মদ মাসুদকে আইইবি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT