শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Smoking
 
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ ৩০ কিলোমিটার যানজট
প্রকাশ: ০৯:৫১ am ২৪-০৮-২০১৭ হালনাগাদ: ০৯:৫৭ am ২৪-০৮-২০১৭
 
 
 


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ ৩০ কিলোমিটার যানজটে আটকা পড়েছে শত শত গাড়ি। গত মঙ্গলবার রাত থেকে মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে শুরু হয়ে দাউদকান্দি ব্রিজ পর্যন্ত গতকাল বিকেল নাগাদ এ যানজট দেখা গেছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী লেনে যানজটে আটকা পড়ে অসংখ্য যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন। শুধু দূরপাল্লার গাড়ি নয়, কাছাকাছি গন্তব্যের গাড়িগুলো যানজটে পড়ে থমকে রয়েছে। যানজট নিরসনে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। অনেক ভিআইপি গাড়িকে পুলিশ প্রহরায় উল্টো পথে গন্তব্যে পৌঁছতে দেখা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মহাসড়কে কয়েক দফায় তিনটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়লে এই যানজটের সৃষ্টি হয়। জানা যায়, সোনারগাঁয়ের আষাঢ়িয়ার চর এলাকায় মঙ্গলবার রাতে পণ্যবাহী একটি ট্রাক বিকল হয়ে পড়লে এ যানজটের শুরু হয়। এছাড়াও গোমতী সেতুর পূর্বপাশে দুটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়লে যানজট দীর্ঘ হতে থাকে। তবে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো রেকার দিয়ে সরিয়ে নিলেও যানজট কমেনি। এ ছাড়াও দুটি সেতুতে ওজন মাপার মেশিনে ট্রাক ও লরিসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহন ওজন মাপার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা, টোল আদায়ের ধীরগতি, বৃষ্টিতে যান চলাচলের ধীরগতির কারণে যানজট আরও দীর্ঘ হয়। সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে টোল প্লাজার অসাধু কর্মকর্তা-কমচারীরা যেসব পণ্যবাহী ট্রাক বা লরি ওজনের স্কেলের আওতায় পড়ে না সেসব পণ্যবাহী ট্রাকগুলো মহাসড়কের ওপর দাঁড় করিয়ে রাখায় যানজট দীর্ঘ হতে থাকে। সরেজমিন মহাসড়কের দড়িকান্দি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যানজটের আটকা পড়ে যানবাহনগুলো স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যানবাহনগুলোর ইঞ্জিন বন্ধ করে অলসভাবে সময় কাটাচ্ছে চালকরা। অনেক যাত্রীবাহী বাসের যাত্রীরা জানালা দিয়ে মুখ বের করে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। কাভার্ড ভ্যান চালক শহিদুল্লাহ বলেন, ওজন মাপার যন্ত্রের কারণে পণ্যবাহী পরিবহনের পাশাপাশি যাত্রীবাহী পরিবহন ভোগান্তিতে পড়তে হয়। টোল প্লাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যেসব পরিবহন ওজনের আওতায় আসে না সেগুলোকেও অযথা সড়কে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রাখে। কুষ্টিয়ার মহজমপুর থেকে ছেড়ে আসা গরুবাহী ট্রাকের চালক শাহ আলম জানান, কুমিল্লায় যাওয়ার উদ্দেশে রোববার এ ট্রাকে গরু লোড করে চলতে শুরু করি। শুধু এ সড়কই নয়। দেশের বিভিন্ন সড়কেই যানজট রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় পুলিশ গরুর ট্রাক থামিয়ে টাকাও আদায় করছে।   কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ তৈবুর রহমান বলেন, মহাসড়কে লরি, ট্রাক বিকল হওয়া ও বাস দুর্ঘটনায় পড়ার কারণে যানজট তীব্র হতে থাকে। যানজটের বিষয়টি খুবই পুরনো। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। বৃষ্টির কারণে সড়কে যান চলাচলের ধীরগতি রয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের দুটি টোল প্লাজায় টোল আদায়ের ধীরগতি ও ওজন মাপায় ট্রাক দীর্ঘ লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখার কারণে অন্য গাড়িগুলো চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ গতকাল বিকেল ৩টায় মোবাইল ফোনে জানান, কয়েকটি দুর্ঘটনা ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT