শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Smoking
 
বরিশালে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত মেজর আটক
প্রকাশ: ১০:৫৫ am ১৪-০৭-২০১৭ হালনাগাদ: ১১:০২ am ১৪-০৭-২০১৭
 
 
 


বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের লতা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গতকাল দুপুরে এক ইউপি সদস্যের পক্ষে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাকে (মেজর) আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছে রক্ষিত একটি পিস্তল ও ম্যাগাজিনসহ মোট ৪২ রাউন্ড গুলি, ধারালো অস্ত্র, একশ’ টাকার একটি বান্ডিল ও পাঁচশ’ টাকার ৩৪টি নোট জব্দ করা হয়েছে।  আটককৃত মো. মহসিন সিকদার ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য (মেম্বার) প্রার্থী স্বপন তালুকদারের সমর্থক বলে জানা গেছে। গতকাল দুপুরে আটক হওয়ার আগে তিনি লতা ইউনিয়নের গৌরীপুর এলাকার ১নং কেন্দ্রের ভোটারদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।  অবসরপ্রাপ্ত মেজরকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল জেলার সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার জানান, নির্বাচন শুরুর পর থেকেই অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. মহসিন সিকদার ১নং কেন্দ্রে গিয়ে তার আত্মীয় মেম্বার প্রার্থী স্বপন তালুকদারের পক্ষে ভোটারদের ওপর প্রভাব বিস্তার করছিলেন। এ সময় দায়িত্বরত দুই আনসার সদস্য তাকে বাধা দিলে তিনি তাদের মারধর করে। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ তার ধস্তাধস্তি হয়। ওই সময় তিনি তার পিস্তল থেকে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে সটকে পড়েন। পরে পুলিশ মহসিন সিকদারকে আটক করে।  এ বিষয়ে মেহেন্দীগঞ্জের কাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুম তালুকদার গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, নির্বাচনকালীন দায়িত্বরতদের মারধর ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বেশ কয়েকটি অপরাধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সাত ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন : এদিকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করে ভোট বর্জন করেছে বিএনপি মনোনীত সব চেয়ারম্যান প্রার্থী। গতকাল দুপুর ২টার দিকে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে বেলা ১১টার সময় বিএনপির প্রত্যেক চেয়ারম্যান প্রার্থী স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ভোট বর্জনের কথা জানান। গতকাল দুপুর ২টায় বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বলেন, ভোটগ্রহণ শুরুর পরপরই বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থকরা। এ ছাড়া সাধারণ ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা মার্কার পক্ষে সিল মেরেছেন সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। এ কারণে দলের সিনিয়র নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি মনোনীত সাত প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, গত দু’দিন ধরে বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে অবাধ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করার পরিবর্তে বিএনপির প্রার্থী, নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানি করে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে অবাধ নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করে দেয়। সূত্র মতে, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আন্ধারমানিক ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রহমান, লতা ইউনিয়নে নাজমুল হক তিনু, জয়নগর ইউনিয়নে দুলাল বেপারি, চরএককরিয়া ইউনিয়নে কামাল উদ্দিন আহম্মেদ, গোবিন্দপুর ইউনিয়নে আব্দুল মোতালেব দেওয়ান, আলিমাবাদ ইউনিয়নে মাইনুদ্দিন মৃধা এবং শ্রীপুর ইউনিয়নে বিএনপি মনোনয়ন পেয়ে কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থীদের পক্ষে সাবেক সাংসদ মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের অভিযোগের প্রতিবাদ করে সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের মাঝেও নিশ্চিত পরাজয় জেনে নাটকীয়ভাবে বিএনপির প্রার্থীরা তাদের সিনিয়র কতিপয় নেতার নির্দেশে ভোট বর্জন করেছে।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT