শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Smoking
 
২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে ২৫তম বড় অর্থনৈতিক দেশ : পরিকল্পনামন্ত্রী
প্রকাশ: ১০:০০ am ০২-১১-২০১৭ হালনাগাদ: ০৫:৩৫ pm ০২-১১-২০১৭
 
 
 


পরিকল্পনামন্ত্রী জনাব এ এইচ এম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, ২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে ২৫তম বড় অর্থনৈতিক দেশ। আমাদের দেশের মানুষ অনেক বেশি পরিশ্রমী  এবং বুদ্ধিদীপ্ত, তারাই একদিন আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। 

 তিনি  গতকাল পিকেএসএফ এর উন্নয়ন মেলা - ২০১৭ এর চতুর্থ দিনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে আয়োজিত "Bangladesh Economy : An Overview" শীর্ষক সেমিনার অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

জনাব মুস্তাফা কামাল বলেন ২০৩০ সালে চীন ও ভারত হবে যথাক্রমে বিশ্বের এক ও তিন নম্বর অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ অর্থনীতিও এগিয়ে যাবে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ-এর সম্মানিত সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ আবদুল করিম। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইএনএম)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরী। 
সেমিনারে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করেন প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ডিস্‌টিংগুইশ্‌ড ফেলো, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। 

পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আবদুল করিম তার স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক  অগ্রগতির বিভিন্ন সূচক তুলে ধরে বলেন,  বাংলাদেশ এখন ৩৫তম অর্থনীতির দেশ, যা আমাদের জন্য একটি মাইলফলক।

তিনি বলেন, 'দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৯৮ শতাংশ; দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এখন স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে; তৈরি পোশাকখাত শিল্পে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয়; এমন আরও বহু সাফল্য আমাদেরকে আশান্বিত করে তোলে।

মূল প্রবন্ধে আইএনএম-এর নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফা কে মুজেরী উল্লেখ করেন, আমাদের অর্থনীতির বড় শক্তি আমাদের যুবশক্তি। এই যুবশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত করতে পারলে আমাদের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রুপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এবং প্রযুক্তি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। 

এছাএয়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে সরকারের আরও বেশি বিনিয়োগের সুবিধাগুলোকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সরকারকে আরও সচেষ্ঠতে হবে। তিনি সমাজে বিদ্যমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান করেন।

সিপিডির ডিস্‌টিংগুইশ্‌ড ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান সাম্প্রদায়িক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই অগ্রগতি ধরে রাখতে হলে আমাদের প্রাতষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে আরও বিস্তৃত করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে নিজেদেরকে দেখতে চাইলে আমাদের মাথাপিছু আয় ১৬০২ ডলার থেকে ১২০০০ ডলারে উন্নীত করতে হবে। যা আপাতদৃষ্টিতে কঠিন মনে হলেও অসম্ভব না।

সভাপতির বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন আমাদের সবাইকে আরও বেশি আশাবাদী হতে হবে। রুপকল্প  ২০২১ বাস্তবায়ন করতে হলে এর লক্ষ্যগুলো সম্পর্কে সকলের স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT