হাঁটু বা গোড়ালির ব্যথা, পায়ের যেকোনো ধরনের আঘাত কিংবা শরীরের অতিরিক্ত ওজনের কারণে সবার পক্ষে সব ধরনের ব্যায়াম করা সম্ভব না-ও হতে পারে। তাই বলে কি ব্যায়াম বন্ধ রাখবেন? অবশ্যই না। কিছু কিছু ব্যায়ামে শরীরের ওজন বহন করতে হয় না।
এ বিষয়ে কিছু তথ্য:
ব্যথা বা বাড়তি ওজনের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সাঁতার সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। পানিতে পায়ের ওপর বাড়তি চাপ না ফেলেই বা কোনো ওজন বহন ছাড়াই সাঁতার কাটা যায়।
পায়ে ব্যথা পেলে ব্যায়াম করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কখনো আঘাত লেগে হাড়ের সামান্য অংশ ভেঙে বা ফেটে গিয়ে থাকতে পারে। এ অবস্থায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পায়ের পূর্ণ বিশ্রাম লাগতে পারে। অন্যান্য আঘাতের ক্ষেত্রে বিছানার ধারের দিকটায় বসে ধীরে ধীরে পা ঘোরাতে থাকুন চক্রাকারে; এতে পায়ে চাপ লাগবে না, আবার রক্তসঞ্চালনও ঠিক থাকবে। দিনে দুই দফায় এভাবে কয়েকবার পায়ের ব্যায়াম করা যায়।
সাইকেল চালাতে পারেন। বাইরে না পারলে ঘরে স্থির সাইকেলের (স্টেশনারি বাইক) ব্যবস্থা করতে পারেন। প্যাডেল করার সময় পিঠের নিচে বেশি চাপ পড়ছে বলে মনে হলে পেটের মাংসপেশি সংকোচন করতে থাকুন একটু একটু করে।
হালকা ডামবেল তোলার ব্যায়াম করতে পারেন। এতে হাতের মাংসপেশি সবল থাকবে এবং হৃৎপিণ্ডও সুস্থ থাকবে।
বসে ও শুয়ে কিছু ব্যায়াম করা সম্ভব। যেমন: সোজা হয়ে শোয়া অবস্থায় এক হাঁটুর নিচে একটু উঁচু কোনো জিনিস রেখে ধীরে ধীরে পা ওঠাতে থাকুন। পা ওঠানোর সময় পায়ের আঙুলগুলো টান টান করে নিজের দিকে রাখতে চেষ্টা করুন, নামানোর সময় টান টান ভাবটা আর রাখবেন না। দুই পায়ে কয়েকবার করে দুই-তিন বেলা এই অনুশীলন করা যায়। বসা অবস্থায় মাটি থেকে এক পা ধীরে ধীরে তুলুন এবং মাটির সমান্তরাল করতে চেষ্টা করুন। এবার পায়ের আঙুলগুলো নিজের দিকে টান টান করে রাখুন। আবার ধীরে ধীরে আঙুল ও পা স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসুন। এই ব্যায়ামও দুই-তিন বেলা করতে পারেন।