সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১
Smoking
 
মনের প্রশান্তিতে সাজান গুছানো ছোট্ট পড়ার ঘর।
প্রকাশ: ১১:৫৫ am ১৩-০৯-২০১৮ হালনাগাদ: ০২:০৫ pm ১৩-০৯-২০১৮
 
 
 


রোজ সকালে জানালাটা খুলে দেওয়ার সময় মনে হয় এই বইটা হাতে নিয়ে একটা-দুটো পাতা পড়ি। কিন্তু সময়টা যে তখন বের হওয়ার, অফিস যাওয়ার। যখন ফিরে আসব তখন এই স্নিগ্ধ প্রাণবন্ত আলোটুকু আর থাকে না।

খুব ছোটবেলায় কার্টুন ছবিতে একটা লাইব্রেরি দেখে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। এক বিশাল জানালা দিয়ে সকালের রোদ এল আর হাজার হাজার বই আলোকিত হয়ে উঠল। দৃশ্যটা এখনো মনের চোখে দেখতে পাই আর ভাবতে থাকি হয়তো একদিন, হয়তো একদিন...।

এখন যখন পেছনে তাকাই বুঝতে পারি অনেক সময় চলে গেছে। এর মধ্যে অনেক বইয়ের সঙ্গেই পরিচয় হলো, নতুন বইয়ের খোঁজ পেলাম। এ দীর্ঘ যাত্রায় যেগুলোর সঙ্গে পরিচয় হলো, এক এক করে অল্প আয়োজনে গুছিয়ে রাখারই চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন মনে হয়, সেই বিশাল পাগলাটে লাইব্রেরির স্বপ্নের চেয়ে সংগ্রহে থাকা বইগুলো যেন সব সময় ভালো সে ব্যবস্থা করাই বেশি দরকার।

আমাদের মতোই আলো প্রয়োজন বইপত্র রাখার জন্য। আলোই জীবন, স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার ঘরে প্রাণ নেই। তাই পড়ার ঘরে আমার অনেক আয়োজন না থাকলেও আছে একটা জানালা। সেখান দিয়ে আলো আসে। এখনকার ব্যস্ত জীবনে হয়তো বিকেলে আমার জানালার পাশে আয়েশ করে বসে বই পড়তে পারি না ঠিকই; তবে রোজ সকালে পড়ার ঘরে জানালা খুলে দিতে ভুলি না। স্কুল-কলেজের দিনগুলোয় প্রতিদিন বই-কমিকস সবকিছু এলোমেলো পড়ে থাকত চারদিকে। এখন ছোট্ট করে একটা সেলফ বানিয়ে বই গুছিয়ে রেখেছি ঠিকই, কিন্তু কমবেশি ধুলো জমেছে সেসবের ওপর। ভাবি, প্রতিদিন যদি হাতের ছোঁয়া পেত বইগুলো, তবে পড়ত না এতটুকু ধুলো।

বটে; কিন্তু দেখি যে সপ্তাহ ঘুরে বইগুলোর ওপর ধুলো জমে। অপেক্ষায় থাকি ছুটির দিনে সব কটা বই ধরে ধরে পাতলা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করব আর পরিবর্তন করে দেব কর্পূরের দানা, যাতে পোকায় না ধরে। তারপর বিকেলে একটা বই নিয়ে সময়টা পার করে দেব।

আসলে পড়ার ঘর মনমতো সাজানো হওয়া চাই, দেয়ালে থাকুক প্রিয় ছবির একটা পোস্টার, টেবিলের ওপর একটা-দুটো জিনিস আর জানালার পাশে একটা গাছ। ব্যস, ছিমছাম হোক পড়ার ঘর, সঙ্গে নিশ্বাস নিক তাকে সাজানো বইগুলো।

 

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT