রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Smoking
 
শুরু হতে যাচ্ছে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’
প্রকাশ: ০১:৪৪ pm ২৭-০৩-২০১৭ হালনাগাদ: ০১:৪৬ pm ২৭-০৩-২০১৭
 
 
 


তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশে হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’। বিশ্বের তিন শতাধিক শহরে এ প্রতিযোগিতা হবে। আর বাংলাদেশের সাতটি বিভাগীয় শহরে এ প্রতিযোগিতা হবে আগামী ২৯ ও ৩০ এপ্রিল। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, খুলনা, ও বরিশাল নিয়ে হচ্ছে প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্যায়ের বিজয়ীরা চূড়ান্তভাবে এতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশে নাসার এই প্রতিযোগিতার আয়োজক হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
‘নাসা স্পেস অ্যাপস ২০১৭’ সম্পর্কে জানাতে শনিবার বেসিস কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান সবুর খান, বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের আহ্বায়ক রিয়াদ এস এ হোসেন, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু প্রমুখ।
প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে আরিফুল হাসান বলেন, এবারের প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত। এখানে বয়সের কোনো সীমা নির্ধারণ করা নেই। তবে অংশ নিতে হবে দলগতভাবে। প্রতিযোগিতায় দলে নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত হলে ১০% নম্বর অতিরিক্ত যোগ হবে। তবে যেহেতু এটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা তাই দলের একজন মেম্বারকে অবশ্যই ইংরেজিতে উপস্থাপনের জন্য পারদর্শী হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিযোগীদের তথ্যপ্রযুক্তি, মহাকাশসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করতে হবে। এই প্রতিযোগিতা শুধু অ্যাপস বা সফটওয়্যার নিয়ে হবে এমনটি নয়। এতে যে কোনো বিষয় হতে পারে। রোবট, টেকনোলজি, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, অ্যাডুকেটর, উদ্যোক্তা ইত্যাদি। নির্বাচিত হলে তাদের মেন্টরিং দিয়ে নাসার মূল প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি করা হবে।
বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে পরিচিত করা। আমাদের তরুণ উদ্ভাবকেরা উদ্ভাবনীর মাধ্যমে এবার বিশ্বজয় করবে, সেই প্রত্যাশা করি।
ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান সবুর খান বলেন, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ একটি প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে আমরা ভালো উদ্যোগ আনতে পারব।
প্রতিযোগিতায় প্রতিটি টিমে চার থেকে সাতজন থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় মেন্টরিং, বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেরা প্রকল্পগুলো তুলে আনা হবে। বাংলাদেশের প্রতি জোন থেকে টিম বাছাই করে মোট ৩৫টি টিম করা হবে। এরপর বাছাইকৃত সেরা প্রজেক্টগুলো নাসার নিয়ম অনুযায়ী মনোনীত করা হবে। পরবর্তীতে ওই প্রজেক্টগুলো সারা বিশ্বের সব প্রজেক্টের সঙ্গে নাসার নিজস্ব নিয়মে গ্লোবাল সিলেকশন শেষে চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। বিজয়ীদের নাসাকর্তৃক সার্টিফিকেট দেয়া হবে। এছাড়া সাঁটল নিক্ষেপের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও বিশ্বের নামকরা বিজ্ঞানীদের সঙ্গে থেকে তা দেখার সুযোগ পাবে বিজয়ীরা।
এই প্রতিযোগিতার নিবন্ধনের শেষ তারিখ ৫ এপ্রিল। আগ্রহীরা http://studentsforum.basis.org.bd/ ওয়েবসাইট থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। প্রতিযোগিতা সম্পর্কে https://2017.spaceappschallenge.org/ ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।
এই প্রতিযোগিতায় সহযোগিতা করছে বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম, বাংলাদেশ ক্লাউড ক্যাম্প। এতে স্পনসর করছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও প্রিজম ইআরপি

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT