শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১
Smoking
 
জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ইসলাম
প্রকাশ: ০৯:৫৮ am ০৯-০৯-২০১৮ হালনাগাদ: ০৩:১০ pm ০৯-০৯-২০১৮
 
 
 


১)রোজা অবস্থায় মেসওয়াকের পদ্ধতি ?

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোজা রেখেও মেসওয়াক করতেন। আমের বিন রাবিয়া হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অসংখ্যবার রোজাবস্থায় মেসওয়াক করতে দেখেছি। (তিরমিজি : ৭২৫, হাদিসটিকে তিনি হাসান বলেছেন। হাদিসটি অনুসারেই আমল করা হবে। রোজা অবস্থায় মেসওয়াককে কেউ দূষণীয় মনে করেননি। তবে, কেউ কেউ গাছের কাঁচা ডাল দিয়ে মেসওয়াককে মাকরুহ মনে করেছেন। এমনই ভাবে, মাকরুহ মনে করেছেন দিবস শেষে মেসওয়াক করাকে।) মেসওয়াকের প্রতি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন।

হাদিসে এসেছে, অর্থাৎ, মেসওয়াক মুখের জন্য পবিত্রকারী ও রবের সন্তুষ্টি আনয়নকারী। (আহমদ: ৭, হাদিসটি সহি লিগায়রিহ) অপর হাদিসে এসেছে, ‘মেসওয়াকের ব্যাপারে আমাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে, এমনকি একসময় আমার মনে হয়েছিল যে, এ ব্যাপারে আমার ওপর কোরআন কিংবা ওহি নাজিল হবে। (আহমদ : ২২/৩)

এ বিষয়ে স্পষ্ট যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরো দিবসজুড়েই মেসওয়াক করতেন। দিবসের সূচনা বা সমাপ্তির মাঝে কোনো প্রকার পার্থক্য করতেন না। হাদিসে এসেছে, আমার উম্মতের ওপর যদি বিষয়টি কঠিন না হত, তবে প্রতি ওজুর সময় তাদের জন্য মেসওয়াক আবশ্যক করে দিতাম। (আহমদ: ৯৯৩০)

অপর হাদিসে এসেছে, মুমিনদের জন্য যদি কষ্টকর না হত, তবে প্রতি নামাজের সময় আমি তাদের জন্য মেসওয়াক আবশ্যক করে দিতাম। (মুসলিম: ২৫২) এসব হাদিসের ভিত্তিতে উলামায়ে কেরাম বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় ব্যক্তির জন্য যেভাবে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সময় মেসওয়াক করা ফজিলতের বিষয়, তেমনিভাবে ফজিলতের বিষয় রোজাদারের জন্যও। (ইবনে খুযাইমা: খ: ৩, পৃষ্ঠা: ২৪৭)

রাসুলের অন্য হাদিসে বর্ণিত একটি উক্তি এ ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা তৈরি করবে না। উক্তিটি হচ্ছে, মেশকে আম্বরের সুঘ্রাণের চেয়েও আল্লাহর কাছে রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ অধিক প্রিয়। (বোখারি: ১৮০৫)।

সুরা আল বাক্বারাহ: কোরআনের উত্তম আয়াত আয়াতুল কুরসীঃ

পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

(১) আলিফ লাম মীম। (২) এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য, (৩) যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামাজ প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদের যে রুযী দান করে যা থেকে ব্যয় করে (৪) এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে।

সূরা আল বাক্বারাহ

ফজিলত: এ সুরা বহু আহকাম সংবলিত সবচাইতে বড় সুরা। নবী করীম (সা.) এরশাদ করেছেন, সুরা বাক্বারাহ পাঠ কর। কেননা, এর পাঠে বরকত লাভ হয় এবং পাঠ না করা অনুতাপ ও দুর্ভাগ্যের কারণ। যে ব্যক্তি এ সুরা পাঠ করে তার উপর কোনো আহ্লে-বাতিল তথা জাদুকরের জাদু কখনও প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।

নবী করীম (সা.) এ সুরাকে (সেনামুল-কোরআন) ও (যারওয়াতুল-কোরআন) বলে উল্লেখ করেছেন। সেনাম ও যারওয়াহ বস্তুর উৎকৃষ্টতম অংশকে বলা হয়। সুরায়ে বাক্বারায় আয়াতুল কুরসী নামে যে আয়াতখানা রয়েছে তা কোরআন শরীফের অন্যান্য সকল আয়াত থেকে উত্তম। (ইবনে কাসীর)।

হযরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেছেন যে, এ সুরায় এমন দশটি আয়াত রয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি সে আয়াতগুলো রাতে নিয়মিত পাঠ করে, তবে শয়তান সে ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না এবং সে রাতের মতো সকল বালা-মুসীবত, রোগ-শোক ও দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা থেকে নিরাপদে থাকবে। 

তিনি আরও বলেছেন, যদি বিকৃতমস্তিষ্ক লোকের উপর এ দশটি আয়াত পাঠ করে দম করা হয়, তবে সে ব্যক্তি সুস্থতা লাভ করবে। 

আয়াত দশটি হচ্ছে: সুরার প্রথম চার আয়াত, মধ্যের তিনটি অর্থাৎ, আয়াতুল-কুরসী ও তার পরের দু’টি আয়াত এবং শেষের তিনটি আয়াত। আহকাম ও মাসায়েল ও বিষয়বস্তু ও মাসায়েলের দিক দিয়েও সুরা বাক্বারাহ সমগ্র কোরআনে অনন্য বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদার অধিকারী। 

এ সুরায় এক হাজার আদেশ, এক হাজার নিষেধ, এক হাজার হেকমত এবং এক হাজার সংবাদ ও কাহিনী রয়েছে।

 

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT