যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ এবং জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এভ্রিলকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। নারী অধিকারকর্মীরা বলছেন, এ বিষয়ে আয়োজক ও বিচারকদের আরো দায়িত্ববান হওয়া উচিত ছিল। তবে আয়োজকরা বলছেন, বিয়ে নয়, তথ্য গোপনের কারণেই বাতিল করা হয়েছে এভ্রিলের মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের খেতাব।
গত ২৯শে সেপ্টেম্বর বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হয় মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ জান্নাতুল সুমাইয়ার নাম। পর মুহূর্তেই বদলে যায় সিদ্ধান্ত, মুকুট পরেন জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল।
ঠিক দু'দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এভ্রিলের বিয়ের ছবি। নোংরা ভাষায় আক্রমণ, চরিত্র হননসহ ক্রমাগত বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে থাকেন তিনি। নারী অধিকারকর্মীরা বলছেন বলছেন, আয়োজকদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন না তুলে লিঙ্গীয় পরিচয়কে বড় করে দেখছে সাধারণ মানুষ। নারী অধিকারকর্মী জোবাইদা নাসরিন বলেন, 'নারীকে সর্বোচ্চ ডিমান্ডেবল পণ্য পরিণত করার আরেকটি ব্যবস্থাপনা সুন্দরী প্রতিযোগীতা । সৌন্দর্য বিচার হবে তার মেধা,বুদ্ধি দিয়ে। সৌন্দর্য মাথায় থাকে, হৃদয়ে থাকে।'
আয়োজকরা বলছেন বিয়ের ঘটনা নয়, তথ্য গোপনকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তারা।
আয়োজক ইকরাম আহমেদ জানান 'মিস ওয়ার্ল্ডের কমিটিরা চাইছেন না যে সে প্রতিনিধিত্ব করুক। এভ্রিল বলছেন সবকিছু মেনে নিয়ে নিজের মেধা আর যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে চান তিনি।
এভ্রিল বলেন, 'ক্রাউন আমার থাকুক আর না থাকুক তাতে সমস্যা নেই। আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। নারীর শরীরের মাপজোক, উচ্চতা আর গায়ের রংকে প্রাধান্য না দিয়ে মেধা ও সংগ্রামকে প্রতিপাদ্য করে প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।