শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Smoking
 
কুমড়োর বড়িতে সচ্ছল
প্রকাশ: ০৩:২৫ pm ২২-০১-২০১৭ হালনাগাদ: ০৩:৩৫ pm ২২-০১-২০১৭
 
 
 


সংসারে অভাব অনাটনে হাহাকার যেন লেগেই থাকতো। একবেলা পেট ভরে খেলে অন্য বেলায় খেতে পারবে কি তা নিয়ে শঙ্কায় থাকতে হতো তাদের। কিন্তু বর্তমানে কুমড়ো থেকে বড়ি তৈরি ও বিক্রি করে তারা এখন পারিবারিকভাবে সচ্ছল। এ চিত্র সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগা ইউনিয়নের আট পরিবারের।

আগের দিনে এসব পরিবারের মেয়েরা ডাল শিল পাটায় সারা রাতভর গুড়ো করে তা সারাদিন রোদে শুকানোর পর কুমড়ো বড়ি তৈরি হতো। তবে বর্তমানে সরকারের উন্নয়ন ভাবনায় দেশ ডিজিটালের সাথে সাথে কুমড়ো বড়ি তৈরি করার যন্ত্রও যেন ডিজিটাল হয়েছে। এখন আর রাতভর শিলপাটায় ডাল গুড়ো করতে হয় না। ডাল গুড়ো করার মেশিনের সাহায্যে অল্প সময়ের মধ্যেই অনেক ডাল গুড়ো করে বড়ি তৈরি করা যায় । তবে বড়িগুলো এখনও হাতের মাধ্যমেই দিতে হয় বলে জানান তিনি। আর এসব কাজে পরিবারের পুরুষদের সাথে নারীরাও সমানভাবে কাজ করে থাকেন।

বড়ি তৈরির আরেক কারিগর তাছলিমা খাতুন জানান, প্রতিদিন একজনের কুমড়োর চাতালে ১৩০ থেকে ১৪০ কেজি কুমড়োর বড়ি তৈরি হয়। এসব বড়ি খুচরা বিক্রি হয় ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। তবে ঢাকা'র পাইকারদের কাছে বিক্রি হয় ৮০/৯০ টাকা কেজি দরে। তিনি আরো জানান, কুমড়োর বড়ি সারা বছর তৈরি করা গেলেও এটা শীতের সময়টাতে বেশি তৈরি হয়। কারণ শীতের সময় রান্না করে খেতে বেশি স্বাদ লাগে। অল্প পূজিতে বেশি লাভ থাকায় নির্দিষ্ট একটি গ্রাম ছাড়িয়ে অত্র উপজেলার অভাবগ্রস্ত বেকাররা সুস্বাদু কুমড়োর বড়ি তৈরি ও বিক্রি করে ভাগ্য বদলাবে এমটিই প্রত্যাশা করেন এ পেশার সাথে যুক্তরা।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT