শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Smoking
 
কাওয়াকোলা ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ
প্রকাশ: ০৪:০০ pm ০৬-০৮-২০১৭ হালনাগাদ: ০৪:০২ pm ০৬-০৮-২০১৭
 
 
 


সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ডের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের পর ওই ইউনিয়নের চাল বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।

কাওয়াকোলা ইউপি সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে সদর উপজেলার মহিলাবিষয়ক অফিসের তত্ত্বাবধানে ভার্নারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) কার্ডের চাল বিতরণের জন্য দুই হাজার ৫৮০ দুস্থ নারীকে নির্বাচন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক কার্ডধারীকে দুই বছরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

কিন্তু ছয় মাস ধরে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলেও সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের ২৩৬ জনের মধ্যে অধিকাংশ নারী এ কার্ড হাতে পাননি বলে অভিযোগ ওঠে।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা কার্ডগুলো ডিলারদের কাছে বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।

এমন অবস্থায় গত কয়েক দিন আগে চাল বিতরণের সময় কার্ডধারী কয়েকজন নারী কার্ড না পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে হট্টগোল শুরু করেন। বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার মোহাম্মদ রায়হান চাল বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করেন।

এদিকে চাল আত্মসাতের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সামনে ইউপি চেয়ারম্যান কার্ডধারীদের অপমান করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।  কেউ কেউ দুই থেকে তিন হাজার টাকায়  কার্ড বিক্রি করেছেন— এমন কথা বলতে চেয়ারম্যান বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকে।

ছুরফা খাতুন, শিউলী, লাভলী, রাবেয়া, শাহিদা খাতুন, মমিনা বেগমসহ বেশ কয়েকজন নারী অভিযোগ করে বলেন, ভিজিডি কর্মসূচির দুস্থ নারীদের চূড়ান্ত তালিকায় তাদের নাম থাকলেও গত ছয় মাসে কার্ড ও বরাদ্দকৃত চাল তাঁরা পাননি। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা তাঁদের কার্ড না দিয়ে বেপারীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক এক ইউপি সদস্য জানান, কাওয়াকোলা ইউনিয়নের সিংগাবিল, কাটেঙ্গা, ক্ষুদ্র কাটেঙ্গা, কুড়িপাড়া গ্রামের সাথী, কহিনুর খাতুন, শিরিয়া, রুমা, মনোয়ারা খাতুনসহ অর্ধশতাধিক নারীর নামে কার্ড থাকলেও তা তাঁদের দেওয়া হয়নি। এমনকি তাঁদের নামে যে কার্ড ইস্যু হয়েছে, সেটাই তাঁরা এখন পর্যন্ত জানেন না। মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কার্ড বিতরণ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাওয়াকোলা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আলীম বলেন, ‘মেম্বাররা কার্ড বিতরণে কিছুটা অনিয়ম করেছেন। আমি বিষয়গুলো সমাধান করার চেষ্টা করছি। তা ছাড়া তালিকায় নাম আছে কিন্তু কার্ড পায়নি, তাঁদের দুই থেকে তিন হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।’

উপজেলা ভিজিডি কমিটির সদস্য সচিব ও মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ফাহিমা আল আশরাফ বলেন, ‘কার্ড পাননি বলে যাঁরা অভিযোগ করেছিলেন, তদন্তের সময় তাঁরাই আবার বলছেন নিজেরা কার্ড বিক্রি করেছেন। এ ক্ষেত্রে আমরা কী করব। তার পরও আমরা কার্ডধারী ছাড়া কাউকে চাল দিচ্ছি না।’

তদন্তে অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে উপজেলা ভিজিডি কমিটির সভাপতি ও ইউএনও সরকার মোহাম্মাদ রায়হান বলেন, ‘কার্ডধারী ছাড়া কাউকে চাল না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT