মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Smoking
 
আমিরাতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ আগুন
প্রকাশ: ০২:৫৮ pm ২৯-০১-২০১৭ হালনাগাদ: ০৩:২৭ pm ২৯-০১-২০১৭
 
 
 


সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রিচ অ্যান্ড রোজ পারফিউম কম্পানির ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আমিরাতের মুদ্রা দিরহাম হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।

 

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের এটাই সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা বলে জানা গেছে। আগুন লাগার পর অগ্নিনির্বাপককর্মীরা শত চেষ্টা করেও কারখানা থেকে কোনো মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। রিচ অ্যান্ড রোজ প্রতিষ্ঠানটি মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক বিখ্যাত ‌আল হারামাইন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্টানের ফ্যাক্টরীতে ক্যামিকাল জাতিয় পদার্থ থাকায় ‌আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

কারখানাটি বাংলাদেশি মালিকানাধীন সবচেয়ে বড় পারফিউম কম্পানি আল হারামাইন ইন্ডাস্ট্রি থেকে আধা কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। ফ্যাক্টরির ওয়াইর হাউজে পারফিউমের অনেক দামি জিনিসপত্র ছিল বলে জানা গেছে। পুলিশ দুর্ঘটনার কারণ বের করার জন্য তদন্ত করছে। বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল বদিরুজ্জামান ও লেবার কনস্যুলার জাকির হোসেন ঘঠনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বাংলাদেশের রাষ্টদূত ডা. মোহাম্মদ ইমরান এ দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সিআইপি আলহাজ্ব মাহতাবুর রহমান নাছির কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, "আমার ব্যবসা জীবনে এটাই সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। " তিনি বলেন, "ফ্যাক্টরি নির্মাণকালে সকল ধরনের সাবধানতা ও বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়েছিল। সিভিল ডিফেন্সের লোকজন পরিদর্শন করে ২৫ জানুয়ারি সকালে সবকিছু ঠিক ‌আছে বলে জানিয়েছিলেন। কম্পানির সবকিছু লিগ্যাল ছিল। তবে ফ্যাক্টরির কোনো কর্মচারী বা কর্মকর্তা এ দুর্ঘটনার আহত হননি বলে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করেন তিনি।

মাহতাবুর রহমান আরো বলেন, "রিচ অ্যান্ড রোজ' কম্পানিটি ফ্রান্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। ফ্রান্সে ২০১৩ সালে এটি গড়ে ওঠে। এ কম্পানির দ্বিতীয় ফ্যাক্টরিটি ২০১৪ সালে আমিরাতের আজমানে স্থাপিত হয়। সারা বিশ্বে এ কম্পানির বার্ষিক সরবরাহের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। তিনি ২০১৭ সনের জন্য ‌আমেরিকাসহ সারা বিশ্বের অসংখ্য এজেন্ট কম্পানিগুলোর সঙ্গে অর্ডার বুকিং ছিল এ কম্পানির। " দুর্ঘটনায় ওয়ার্ল্ড মার্কেটে বড় ধরনের বিপর্যয় আসতে পারে বলে মাহাতাবুর রহমান নাছির উল্লেখ করেন।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT