শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Smoking
 
৫৫ পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
প্রকাশ: ০৯:৩০ am ২১-১২-২০১৬ হালনাগাদ: ০৯:৩৩ am ২১-১২-২০১৬
 
 
 


বর্তমানে দেশের তৈরি পোশাক খাত দুর্যোগের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

রাজধানীর পাশ্ববর্তী এলাকা আশুলিয়াতে টানা ৯দিন শ্রমিক অশন্তোষের বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বিজিএমইএ ভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এসময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় ৫৫টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কারখানা উদ্যোক্তাগণ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারার ভিত্তিতে এসব কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করেছে। যার ফলে শ্রমিকরা বন্ধকালীন কোনো বেতন পাবেন না।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর বর্তমান ও সাবেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সিদ্দিকুর রহামান বলেন, “এ দুর্যোগ একা আমাদের না, দেশের জন্যও। এ দুর্যোগ আমাদের বাঁচা-মরার।” পোশাকখাতের এ দুর্যোগ মোকাবেলায় তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক, আমরা যখন বৈশ্বিক ও আর্থিক এ দ্বিমুখী চাপের মধ্যে থেকেই টিকে থাকার সংগ্রামে রয়েছি- ঠিক তখন অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিতে শুরু হয়েছে নানা অপতৎপরতা। বিশেষ করে আমাদের শান্ত শ্রমিক গোষ্ঠীকে উস্কানি দিয়ে অশান্ত করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে বহিরাগতদের উস্কানিতে আশুলিয়া এলাকার শ্রমিক ভাই-বোনদের নতুন মজুরি কাঠামো গঠন ও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। কর্মবরিতি পালন করছে। অথচ এ মূহুর্তে নতুন মুজুরি কাঠামো গঠনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।”

শ্রম আইন অনুযায়ী ৫ বছর পর পর মজুরি কমিশন গঠনের বিধান রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “সর্বশেষ নূন্যতম মজুরি ঘোষণার পর তিন বছর অতিক্রম করেছে। আরও দুই বছর পর নতুন কমিশন গঠন করা যেতে পারে। এছাড়া বিগত ছয় বছরে পোশাকখাতের নূন্যতম মজুরি ২২৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”

কারখানা বন্ধের বিষয়ে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিগত ৯ দিন যাবৎ আশুলিয়া অঞ্চলে শ্রম সমস্যা বিরাজ করছে। শুরুতে একটি কারখানায় সমস্যা থাকলেও পরবর্তীতে তা ৩ থেকে ৪টি কারখানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। তবে গত ৩ দিনে এ সমস্যা প্রতিদিন ক্রমেই বাড়ছে। শ্রমিকরা কারখানায় এসে কার্ড পাঞ্চ করে বেরিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কারাখানায় মাকিরা এ বিষয়ে যথেষ্ট ধৈর্য্য ধরেছে। গত রাতেও ১৯ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রী নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, নৌ পরিবহন মন্ত্রী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শ্রমিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কারাখানা চালু করার ও শ্রমিকদের কাজে যোগদানের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শ্রমিকরা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি।”

তারা জানান, এ অবস্থায় যে কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করবে না, তাদের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য আশুলিয়া এলাকায় তাদের ওই কারখানাগুলো বন্ধ করতে বাধ্য হলেন। এ পরিস্থিতিতে কোন শ্রমিক কারখানায় কাজ না করলে আইন অনুয়ায়ী ওই সময়ের জন্য বেতন পাবেন না।

সিদ্দিকুর রহমান সরকারের নিকট অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “এ শিল্পকে নিয়ে যারা চক্রান্ত করছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন। যদি প্রয়োজন হয়, সংসদে নতুন আইন প্রণয়ন করে অর্থনীতি ধ্বংসকারীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি প্রদান করুন। যাতে করে আর কেউ শিল্পকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। এসই সঙ্গে শিল্প-কারখানা চালানোর জন্য আমাদেরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিন।”
 

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT