শনিবার, ০১ জুন ২০২৪ ১৮ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Smoking
 
১০ মামলায় খালেদাকে ১ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজিরের নির্দেশ
প্রকাশ: ০১:১৬ pm ০৯-০১-২০১৭ হালনাগাদ: ০১:১৯ pm ০৯-০১-২০১৭
 
 
 


নাশকতার নয়টি ও রাষ্ট্রেদ্রোহের একটিসহ মোট দশটি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলা দশটির মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানার নাশকতার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার বিস্ফোরক আইনের একটি এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে করা রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা।

সোমবার (০৯ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত। এসব মামলায় নির্ধারিত অভিযোগ (চার্জ) গঠনের দিনও পিছিয়ে ০১ ফেব্রুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করেছেন।

এর আগে গত বছরের ০১ ডিসেম্বর এ ১০টি মামলায় ০৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে খালেদা জিয়াকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। অন্যথায় তার জামিন বাতিল হবে বলে জানিয়েছিলেন।

কিন্তু সোমবার আদালতে হাজির হননি খালেদা। অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার সময়ের আবেদন জানান। এ আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

নাশকতার ৯টি মামলা দায়ের করা হয় ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত।  সারাদেশে লাগাতার হরতাল-অবরোধ চলাকালে গাড়ি ভাংচুর, পেট্রোল বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দারুস সালাম ও যাত্রাবাড়ী থানার মামলাগুলোতে খালেদা জিয়া হুকুমের আসামি। এসব মামলায় খালেদাসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।

গত বছরের মে ও জুন মাসে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা দারুস সালাম থানার আট মামলায় পুলিশের দেওয়া চার্জশিট আমলে নিয়েছেন আদালত।

এদিকে ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কাঠের পুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছুড়ে একজনকে হত্যা ও ৩০ জনকে আহত করার ঘটনায় দুই মামলায়ও খালেদা হুকুমের আসামি। হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের ওই মামলা দু’টিতেও একই বছরের ৬ মে ঢাকার সিএমএম আদালতে খালেদাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ। এর মধ্যে বিস্ফোরক মামলায় শুনানির দিন ধার্য ছিল সোমবার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে গত বছরের ২৫ জানুয়ারি খালেদার বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী।

২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় খালেদা বলেছিলেন, ‘আজকে বলা হয়, এতো লাখ লোক শহীদ হয়েছেন। এটি নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে, আসলে কতো লাখ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানা রকম তথ্য আছে’।

ওই বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ তুলে দায়ের করা মামলাটিতেও পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত।

গত বছরের ১০ আগস্ট ঢাকার ১ নম্বর মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে এসব মামলায় জামিন নিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT