পেটে ব্যথা হলে কষ্টের সীমা থাকে না। পেট ব্যথা কিন্তু নির্দিষ্ট রোগ নয়। নানা কারণে পেট ব্যথা হয়। এর মধ্যে কিছু আছে বিপজ্জনক, আর কিছু আছে যেগুলো তেমন বিপজ্জনক নয়। কিন্তু কারো যদি সবসময় পেটে ব্যথা হয় তার কষ্টের সীমা থাকে না। এ ধরণের রোগী এখন প্রায়ই দেখা যায়। তাই এ বিষয়ে সবারই কিছু জানা উচিত। যদি সবসময় বা প্রায় সবসময় পেটে ব্যথা হয় তবে তা গুরুত্বের সাথে নেয়া উচিত। তবে সবসময় পেটে ব্যথা হলে এমন কিছু উপসর্গ থাকে যা দেখে পেটের বিভিন্ন অসুখ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে আবার বহু পরীক্ষা নিরীক্ষার পরেও কোন অসুখ পাওয়া যায় না। তখন চিকিৎসকরা তাকে ‘ক্রনিক ফাংশনাল এবডমিনাল পেইন’ বলেন।
পেটের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে স্নায়ুর মাধ্যমে ব্রেনে তথ্য যায়। এই তথ্য যখন প্রক্রিয়াকরণ চলে তখন সমস্যা হলে ‘ক্রনিক ফাংশনাল এবডমিনাল পেইন’ হয়। সামাজিক এবং মানসিক সমস্যার ফলে সবসময় পেটে ব্যথা হতে পারে। এসব ফাংশনাল পেইন। তেমন ক্ষতিকর নয়। সবসময় পেটে ব্যথা হলে ‘পেইন ক্লিনিক’ এ চিকিত্সা হওয়া উচিত। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাদের দেশে এমন ক্লিনিক গড়ে উঠেননি। বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় এমন ক্লিনিক আছে। এসব ক্লিনিকে অভিজ্ঞ মনোচিকিত্সক থাকেন। তারা বিভিন্ন মানসিক সমস্যার চিকিত্সা দেন। ফলে রোগীরা সবসময় পেট ব্যথা থেকে রেহাই পান। আবার অভিজ্ঞ চিকিত্সক থাকেন যিনি বিভিন্ন ব্যথার ওষুধ দেন। কার জন্য কোন ওষুধ ভাল হবে তা একজন চিকিৎসকই ঠিক করেন। গাবাপেন্টিন, প্রিগাবালিন, কেটামিন এবং অপিওয়েড দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
সবসময় পেট ব্যথা হলে দ্রুত একজন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট এর কাছে যাওয়া উচিত। কারণ এমন সমস্যা হলে বহু কষ্ট ভোগ করতে হয় রোগীকে। একজন অভিজ্ঞ গ্যাস্ট্রাএন্টারোলজিস্টই সঠিক পথের নির্দেশনা এ ক্ষেত্রে দিতে পারবেন।