শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Smoking
 
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ২৩ জন শনাক্ত
প্রকাশ: ০৩:৪৯ pm ১০-১২-২০১৬ হালনাগাদ: ১০:৫৫ am ১১-১২-২০১৬
 
 
 


বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা ও বিদেশিসহ ২৩ জন জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত উপ মহাপরিদর্শক শাহ আলম।

শাহ আলম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির আগে ২০১৫ সালের ১৫ মে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনে (আরসিবিসি) ৫টি ভূয়া অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া রিজার্ভের টাকা তাদের ব্যাংক শাখায় জমা পড়ে। আর ওই ২৩ শনাক্ত বিদেশি টাকা উত্তোলনের কাজ করে।

তিনি বলেন, রিজার্ভ চুরিতে জড়িত অভিযোগে শনাক্ত বিদেশি ২৩ নাগরিক ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য লাইনম্যান হিসেবে কাজ করেছে। তারা টাকা উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।

তবে রিজার্ভ চুরির মূল পরিকল্পনাকারীকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তাকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে শাহ আলম বলেন, তদন্তের সাক্ষ্য প্রমাণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তা সংগ্রহে জন্য বিদেশি পুলিশ ও তদন্ত সংস্থা সহায়তাও পাওয়া যাচ্ছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে স্থানান্তর করে হ্যাকাররা। ওই অর্থ ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার ব্রাঞ্চের চারটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে সেই অর্থ ক্যাসিনোতে চলে যায়। যার একটি অংশ ফিলিপাইনের সিনেটের কাছে ফিরিয়ে দেন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিং অন।

বর্তমানে মাত্র দেড় কোটি ডলার ফিলিপাইনের বিচার বিভাগের কাছে রয়েছে। সেই টাকা ফিরে পেতেই তৎপরতা চলছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। বাকি অর্থের সঠিক হদিস এখনও পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থচুরির বিষয়টি ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কান পুলিশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইও তদন্ত করছে।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT