নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে জামিনের পর কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।
নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম হোসেন মাহমুদুর রহমান মান্নার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কারাগারের জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির বলেন, “আদালত থেকে জামিনের কাগজ আসার পর সন্ধ্যায় মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে মান্নার কথোপকথন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বনানীর একটি বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে একটি দল মান্নাকে তুলে নিয়ে যায় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। ওই সময় গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে মান্নাকে আটক করার কথা অস্বীকার করা হয়।
দিনভর তার খোঁজ পাওয়া না গেলেও পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে গুলশান থানার পুলিশের হাতে মান্নাকে হস্তান্তর করে র্যাব। তখন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিদ্রোহে প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে মান্নার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৩১ ধারায় গুলশান থানায় মামলা করে পুলিশ। ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় আদালতে হাজির করে পুলিশ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়। সেই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়।