শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Smoking
 
ভোক্তা ঋণের উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণেই বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি
প্রকাশ: ০৯:৫২ am ১১-০৯-২০১৭ হালনাগাদ: ০৯:৫৪ am ১১-০৯-২০১৭
 
 
 


মূলত ভোক্তা ঋণের উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণেই বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক হিসাবে দেখা যাচ্ছে, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। কিন্তু এ সময় ভোক্তা ঋণে (কনজুমার ক্রেডিট) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৮ শতাংশ। এমতাবস্থায় গৃহায়ন, যানবাহনসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাত ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণ কমিয়ে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সার্বিকভাবে ভোক্তা ঋণের বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। ব্যাংকার্স সভা হিসেবে পরিচিত ওই বৈঠকে সাধারণত ব্যাংক খাতের সমসাময়িক সমস্যা ও তা থেকে উত্তরণের বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অধিকাংশ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী বলেন, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য অংশ হয়েছে ভোক্তা ঋণ। গত জুলাইতে সামগ্রিক খাতে প্রায় ১৭ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অথচ ভোক্তা ঋণ বেড়েছে ২৮ শতাংশ। এভাবে নির্দিষ্ট কোনো খাতে ঋণ কেন্দ্রীভূত না করার বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির কোনো একক খাত বা বড় গ্রাহকের কাছে ঋণ পুঞ্জীভূত হয়ে গেলে ঝুঁকি বেড়ে যায় বলে মন্তব্য করেন। তিনি জানান, ঋণগুলো কোনো এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হয়ে গেলে খেলাপি ঋণের হার অনেক বেড়ে যায়, যা পরবর্তীতে ব্যাংকটিকে আর্থিকভাবে দুর্বল করে ফেলে। ব্যাংকের জনবল নিয়োগের বিজ্ঞাপনে চাকরি প্রার্থীদের পড়াশোনার বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নির্দিষ্ট করা যাবে না, এই মর্মে ব্যাংকারস সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান আনিস এ খান বলেন, প্রবেশনারি অফিসার ও ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি পদে জনবল নিয়োগে ব্যাংকের বিজ্ঞাপনে কোনো বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট না করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশনা দিয়েছে। সে বিষয়ে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা সম্মত হয়েছে। এ বিষয়ে সুর চৌধুরী বলেন, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ক্ষেত্রে এখন থেকে বিষয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নির্দিষ্ট করে দেওয়া যাবে না। সরকারি ব্যাংকগুলোর মতো এসব ব্যাংকের নিয়োগেও স্বীকৃত যে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। একই সঙ্গে বেসরকারি সব ব্যাংকে প্রত্যেক পদের অভিন্ন নাম করার বিষয়ে এবিবির কাছে একটি প্রস্তাব চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আনিস এ খান আরও বলেন, আদায় বৃদ্ধি ও ভালো মানের ঋণ বিতরণের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে গভর্নর ব্যাংকারদের পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি কিছু ব্যক্তি ও খাতে যেন ঋণ কেন্দ্রীভূত হয়ে না পড়ে সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জানা গেছে, বৈঠকে চেক জালিয়াতি রোধে চেক ছাপানোর সময় নির্ধারিত সব নিয়ম পরিপালনের পাশাপাশি নিরক্ষরদের জন্য কীভাবে চেকের মাধ্যমে লেনদেন করার ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া ইরানের সঙ্গে ব্যাংকিং লেনদেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, সুদহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। 

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT