শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১
Smoking
 
ব্রাজিলের স্বপ্নভঙ্গ করে সেমিফাইনালে বেলজিয়াম
প্রকাশ: ১১:১৩ am ০৭-০৭-২০১৮ হালনাগাদ: ১১:১৬ am ০৭-০৭-২০১৮
 
 
 


বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট ব্রাজিলকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখলো বেলজিয়াম। শেষ মুহূর্তে মুহুর্মুহু আক্রমণ করেও বেলজিয়ামের রক্ষণব্যুহ ভাঙতে ব্যর্থ হয় সেলেসাওরা। ফলে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিশ্চিত হলো ব্রাজিলের। আর সেমিফাইনালে উঠলো বেলজিয়ামের ‘সোনালী প্রজন্ম’।

ম্যাচে গোলের দেখা পেয়েছেন দুই দলের তিন খেলোয়াড়। কিন্তু ম্যাচের মূল নায়ক আসলে বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবাউ কুরতোয়া। ম্যাচের শেষ দিকে রেনাতো আগুস্তোর গোলে যখন ব্যবধান কমালো ব্রাজিল, তখন থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মরিয়া হয়ে উঠে সেলেসাওরা। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগ মুহূর্তে নেইমার প্রায় গোল করেই ফেলেছিলেন কিন্তু কুরতোয়া এদিন যেনো গোলবারের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি নেইমারের প্রচেষ্টা এর আগেও একবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন। পুরো ম্যাচেই তার অসাধারণ সেভের কারণেই গোলবঞ্চিত হয়েছেন নেইমার-জেসুসরা।

ব্রাজিল তাদের সেরা দল নিয়েও হারের যন্ত্রণায় বিদ্ধ হয়েছে। এর পেছনে দলের সেরা ডিফেন্ডার কাসেমিরোর অনুপস্থিতি বড় অবদান যেমন রেখছে তেমনি তার বদলে যিনি একাদশে ছিলেন সেই ফার্নান্দিনহোর আত্মঘাতী গোলও বড় অবদান রেখেছে। 

এটি কোচ তিতের অধীনে ব্রাজিলের মাত্র দ্বিতীয় হার। রাশিয়া বিশ্বকাপে তারা ফেবারিট হিসেবেই এসেছিলো। কিন্তু বেলজিয়ামের কাছে সেই স্বপ্নের সমাপ্তি ঘটলো। ম্যাচের শুরুতেই ফার্নান্দিনহোর আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। ম্যাচের ১৩ মিনিটে বেলজিয়ামের হয়ে কর্নার কিক নেন ডি ব্রুইনি। লাফিয়ে তাতে মাথা ছুঁয়াতে সমর্থ হন বেলজিয়াম ডিফেন্ডার ভিনসেন্ত কোমপানি। কিন্তু ব্রাজিলের ডিফেন্ডার ফার্নান্দিনহোর মাথায় লেগে বল ব্রাজিলের জালে ঢুকে গেলে আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে যায় ব্রাজিল।

পিছিয়ে পড়ে গোল করার জন্য প্রচেষ্টা চালালেও তা ফলে পরিণত করতে ব্যর্থ হয় ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডরা। বিশেষ করে ইনজুরি থেকে ফিরে আসা মার্সেলোর বেশ কিছু প্রচেষ্টা যথাস্থানে ফিনিশারের অনুপস্থিতিতে অকার্যকর হয়ে যায়। উল্টো কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের শক্ত রক্ষণকে পরীক্ষায় ফেলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম।

ম্যাচের ৩১ মিনিটে কেভিন দে ব্রুইনির অসাধারণ গোলে ব্রাজিলের বিপক্ষে এগিয়ে যায় বেলজিয়ানরা। তবে গোলের পেছনে বড় অবদান রেখেছেন রোমালু লুকাকু। তার বাড়িয়ে বল থেকেই ব্রাজিলের ডি বক্সের ২০ গজ দূর থেকে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন দে ব্রুইনি।

২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য বারংবার আক্রমণে উঠে আসে ব্রাজিল। ফলও আসে। কুতিনহোর ক্রস থেকে পাওলিনহোর বদলি হিসেবে নামা রেনাতো আগুস্তোর হেড থেকে করা ৭৬ মিনিটের গোলে ব্যবধান ২-১ এ নামিয়ে আনে ব্রাজিল। তবে ততোক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যবধান নিয়েই জিতে যায় বেলজিয়াম।

বেলজিয়ামের এই দলটিকে কেন ‘সোনালী প্রজন্ম’ বলা হয় তা বেশ ভালভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে তারা। ব্রাজিলের মতো শক্তিশালী দলকে অনায়াসে হারিয়ে দিয়ে সেমির বন্দরে পৌঁছে গেছে তারা।

সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রাতের প্রথম ম্যাচে জয়ী দল ফ্রান্স। 

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT