বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত মঙ্গলবার কর অঞ্চল-৮ এর সংশ্লিষ্ট কর সার্কেল থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে ২০১০ সালের আগস্ট থেকে ব্যাংকে খালেদা জিয়ার নামে রক্ষিত হিসাব এবং লেনদেনের তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। এসব তথ্য সংগ্রহের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তাকে অনুমতি দিয়ে সাত দিনের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংক লেনদেন কিংবা কর অফিসের অগোচরে কোন ব্যাংক হিসাব খোলার মাধ্যমে আয়কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে কিনা- তা যাচাই করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অবশ্য ২০০৭ সাল থেকে এনবিআরের নির্দেশে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ রয়েছে। জব্দকৃত ওইসব ব্যাংক হিসাব থেকে প্রতি মাসে তিনি ৫০ হাজার টাকা করে তোলার অনুমতি পান।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আহমেদ আজম খান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, খালেদা জিয়া প্রতি বছরই নিয়ম মেনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন।
এনবিআর হয়তো মনে করতে পারে খালেদা জিয়া গোপনে কোন অর্থ উত্তোলন করেছেন কিনা। কিন্তু তার কোন অনিয়ম নেই। তাকে রাজনৈতিক ও মানসিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যেই ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এনবিআর করদাতাদের কর সংক্রান্ত তথ্যের জন্য নিয়মিত চিঠি দিয়ে থাকে। তারই অংশ হিসেবে এ চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। এর পর বিভিন্ন সময়ে ওই হিসাব অবমুক্ত করতে দলটির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়।