শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪ ২০শে বৈশাখ ১৪৩১
Smoking
 
নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগ
প্রকাশ: ১০:৩৪ am ০৮-০৫-২০১৮ হালনাগাদ: ১০:৪০ am ০৮-০৫-২০১৮
 
 
 


নারী নির্যাতনের অভিযোগের মুখে পদত্যাগ করেছেন নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক শ্নেইডারম্যান।

সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “আমার বিরুদ্ধে গুরুতর কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে সেগুলো প্রত্যাখ্যান করছি।

“যদিও এসব অভিযোগ আমার পেশাগত আচরণ বা দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, তারপরও এই জটিলতার মধ্যে সেসব অভিযোগ আমার দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করবে।”  

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চার নারীকে উদ্ধৃত করে নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে মারধরের অভিযোগ আসার পর শ্নেইডারম্যানের পদত্যাগের এই ঘোষণা আসে।

যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে গড়ে ওঠা নারীদের ‘মি টু মুভমেন্ট’ এর সোচ্চার সমর্থক শ্নেইডারম্যানের বিরুদ্ধে যে চার নারী ওই অভিযোগ তুলেছেন, তাদের মধ্যে দুজন নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের সাবেক বান্ধবী হিসেবে।

নিউ ইয়র্কার ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর নিউ ইয়র্কের গভর্নর এন্ড্রু কুমো  অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে এরিক শ্নেইডারম্যানকে ইস্তফা দেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এমনকি নিউ ইয়র্কের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তাও নন। এরিক শ্নেইডারম্যান এই অবস্থায় অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারেন বলে আমি মনে করি না।”

হলিউডের প্রভাবশালী প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিনের বিরুদ্ধে বিপুল সংখ্যক অভিনেত্রী ধর্ষণ ও যৌন অসাদাচরণের অভিযোগ আনার পর নিউ ইয়র্ক রাজ্যের প্রধান প্রসিকিউটর হিসেবে এই শ্নেইডারম্যানই গত ফেব্রুয়ারিতে মামলার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন।

ওয়াইনস্টিন তার প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মীদের যৌন নিপীড়ন করতেন, এমনকি হত্যার হুমকি দিতেন বলেও অভিযোগ করা হয় ওই মামলায়।

ওই মামলার প্রক্রিয়া শুরুর পর এক টুইটে শ্নেইডারম্যান বলেছিলেন,যৌন হয়রানি, নিগ্রহ আর আতঙ্ক মুক্ত একটি কর্মপরিবেশ পাওয়ার অধিকার নিউ ইয়র্কের প্রত্যেক নাগরিকেরই আছে।

যদি কেউ ওই ধরনের কোনো অসদাচরণের শিকার হয়ে থাকেন, তাকে অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল ওই টুইটে।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT