শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Smoking
 
খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির জন্য ব্যাংকাররাই দায়ী : অর্থমন্ত্রী
প্রকাশ: ০৯:৪৫ am ২৭-০৮-২০১৭ হালনাগাদ: ০৯:৪৮ am ২৭-০৮-২০১৭
 
 
 


খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির জন্য ব্যাংকাররাই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ঋণ দেওয়ার পরই ব্যাংকাররা চান গ্রাহক খেলাপি হয়ে যাক। যাতে গ্রাহককে কব্জায় আনা যায়।

গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের অবস্থা পর্যালোচনা : চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি বহুদিনের হলেও শুরুতে খেলাপি ঋণের জন্য ব্যাংকারদের দোষ ছিল না। ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারণ জটিলতায় ১৯৭২ সালের পর কিছু খেলাপি ঋণ তৈরি হয়। বর্তমানে সমগ্র ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ মাত্র ১০ থেকে ১১ শতাংশ। সেখানে সরকারি ব্যাংকের ২৭ শতাংশ। এতে আমার লজ্জা লাগে। খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে হবে। অবলোপনের মাধ্যমে যেসব খেলাপি ঋণ ব্যালান্সশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তা আদায়ের দায়িত্ব ব্যাংকের।

অর্থমন্ত্রী বলেন, শিল্পপতিদের মেয়াদি ঋণ দেওয়া হয়। কিন্তু চলতি মূলধনের ক্ষেত্রে জামানত নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করা হয়। শিল্পপ্রতিষ্ঠায় ১০০ কোটি টাকা প্রয়োজন হলে গ্রাহককে দেওয়া হয় মাত্র ২০ কোটি টাকা। এটি করার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, মূলধন পর্যাপ্ততা ব্যাংকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি ব্যাংকে যেন লালবাতি না জ্বলে এজন্য সরকার মূলধনের জোগান দেয়। একটি ব্যাংক খারাপ হলে পুরো অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে।

তিনি বলেন, ব্যাংকের সব কর্মকর্তাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হতে হবে। কোনো কেরানি ব্যাংকে দরকার নেই। কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, কেওয়াইসি ব্যাংকের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বড় বড় গ্রাহকের সঙ্গে সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সম্পর্ক কম। ঋণ প্রস্তাব আরও উন্নত হতে হবে। এটি কীভাবে করা যায় সেই সুপারিশ দেন। তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে একটি কথা বলে আসছি মার্জার (একীভূত) হবে। কিন্তু এজন্য আইন দরকার। দেউলিয়া আইন ও মার্জার আইন করা হবে। আমেরিকার ৪ হাজার ব্যাংক ছিল। এখন মার্জার হয়ে অনেক কমে গেছে। আমাদের দেশেও যথাসময়ে মার্জার হবে। আমরা প্রস্তুত আছি। দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এতে অন্যদের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আবদুর রাজ্জাক, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT