বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ ২৫শে বৈশাখ ১৪৩১
Smoking
 
আইটি খাতে ৪০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দাবি
প্রকাশ: ০৫:৫৭ pm ১৯-০৪-২০১৭ হালনাগাদ: ০৫:৫৮ pm ১৯-০৪-২০১৭
 
 
 


সফটওয়্যার ও আইটি সেবা খাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে ৪০ শতাংশ নগদ অর্থ প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তাফা জব্বার।

বুধবার বেলা ১১টায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় বেসিসের পক্ষে তিনি এ দাবি রাখেন। বেসিসের পক্ষ থেকে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্কে মোট ১৫টি দাবি তুলে দরেন তিনি।

বেসিস সভাপতি বলেন, “সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত থেকে আগামী ২০২১ সাল নাগাদ পাঁচশ কোটি মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফটওয়্যার ও আইটি সেবা খাতের কোম্পানিগুলোকে রপ্তানিতে উৎসাহিত করাসহ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানিতে ক্যাশ অর্থ প্রণোদনা জরুরি হয়ে পড়েছে।”

তাই এ খাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে ৪০ শতাংশ ক্যাশ অর্থ প্রণোদনা রাখার দাবি জানান তিনি।

মোস্তাফা জব্বার ভ্যাট আইনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের মাধ্যমে সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ভ্যাট মওকুফের দাবি করেন। সুলভে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে এনটিটিএনের পক্ষ থেকে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিও জানান তিনি।

এছাড়াও ইন্টারনেট মডেম, ইন্টানেট ইন্টারফেস কার্ড, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সুইচ, হার, রাউটার, সার্ভার, ব্যাটারিসহ সব ইন্টারনেট ইকুইপমেন্টের ওপর বর্তমানে আরোপিত ২২ দশমিক ১৬ শতাংশ ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বিদেশি ডিজিটাল ডিভাইসের ওপর শুল্ক আরোপ করে দেশীয় যন্ত্রাংশ/কাঁচমালকে সম্পূণ শুল্ক ও ভ্যাট মুক্ত, মোবাইল এক্সেসরিজের ওপরে ন্যুনতম শুল্কহার ধার্য্য, গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাদির আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ রাখাসহ অপটিক্যাল ফাইবার ও ফাইবারস ব্যান্ডল এবং ক্যাবলসের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি করেন তিনি।

বেসিস সভাপতি বলেন, “আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি বিষয় হচ্ছে, যদি দেশে ব্রডব্র্যান্ডের প্রসার শতকরা ১০ ভাগ হয় তাহলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ১ ভাগ। দেশে ইন্টারনেটের ওপর দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট-শুল্ক বসিয়ে একটি ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি করে রেখেছে। এটি জিডিপির প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা।

তিনি বলেন, “দেশে দুইকোটি ৩৩ লাখ লোক ফেসবুক ব্যবহার করে। এর মধ্যে দুইকোটি ২০ লাখ ঢাকা শহর ও এর আশপাশে ব্যবহার করে। মাত্র ১৩ লাখ সারাদেশে ব্যবহার করে। এ ধরনের ডিজিটাল বৈষম্যের একটি অন্যতম কারণ ভ্যাট। ভ্যাটের কারণে সাধারণ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন না। তাদের কাছে ইন্টারনেটের স্পিড পৌঁছায় না। ভবিষ্যত প্রজন্ম ইন্টারনেট সভ্যতার মধ্যে বসবাস করবে। তারা যদি সহজলভ্য ইন্টারনেট না পায় তাহলে ইন্টারনেট সভ্যতার ভাঙা-চোরা রাস্তায় তারা বসবাস করবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি।”

মোস্তফা জব্বার বলেন, “আমরা যখন কেবল কৃষিভিত্তিক সমাজ থেকে প্রযুক্তি নির্ভর সমাজে প্রবেশ করেছি তখন আমরা প্রযুক্তিতে আমদানি নির্ভর ছিলাম। এখন আমাদের সময় হয়েছে উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশে প্রবেশের। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা উৎপাদক ও রপ্তানিকারক হতে চাই। আমরা যদি বিদেশ থেকে কোনও ডিজিটাল পণ্য উৎপাদন করে নিয়ে আসি তাতে যে শুল্ক হয় দেশে উৎপাদন করলে তার শুল্ক ১০ গুণ বেশি পড়ে যায়। সেটা স্মার্টফোন হোক আর কম্পিউটার হোক।”

আগামী বছরটা উৎপাদক হওয়ার বছর হোক এমনটাই আশা করেন তিনি।

তিনি বলেন, “এক সময় এনবিআরে কম্পিউটারের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারের আবেদন করেছি। এখন সময় হয়েছে আমদানিকে নিরুৎসাহিত করে দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করার।”

সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এনবিআর সদস্য (মূসকনীতি) ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. পারভেজ ইকবাল (করনীতি), মো. লুৎফর রহমান (শুল্কনীতি) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT