শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১
Smoking
 
অবৈধভাবে ডিস ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন
প্রকাশ: ১০:৫৫ am ২১-১২-২০১৭ হালনাগাদ: ১০:৫৭ am ২১-১২-২০১৭
 
 
 


এস এম জামাল, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভারতীয় কোম্পানীর মাধ্যমে অবৈধভাবে কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করতে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত কেবল নেটওয়ার্কের মুল্যবান যন্ত্রপাতিসহ ২০ লাখ টাকার সরঞ্জামাদী লুট করে নিয়েছে। এরপরও মিন্নাত বাহিনীর অব্যহত হুমকির মুখে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে বৈধ ডিশ কেবল ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবার। জানা যায়, বাংলাদেশ টেলিভিশন কর্তৃক কেবল নেটওয়ার্কের লাইসেন্স নিয়ে দৌলতপুর উপজেলার ভাগজোত এলাকার লোকমান হোসেনের ছেলে গিয়াস উদ্দীন বৈধভাবে কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। দৌলতপুর উপজেলার ভাগজোত নীচপাড়া এলাকার ইমদাদুল হকের ছেলে মিন্নাত আলী অবৈধপন্থায় ভারত থেকে সেট টপ বক্সের মাধ্যমে অবৈধভাবে কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা করছে এবং জোরপূর্বক রাজনৈতিকমহল ও প্রশাসনের যোগসাজসে এই অবৈধ কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা চালাচ্ছে। অবৈধভাবে কেবল ব্যবসা পরিচালনাকারী মিন্নাত আলী কেবল অপারেটর লাইসেন্স এর শর্ত লংঘন করার অপরাধে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬ এর ১১(১) ধারা অনুসারে বিটিভি কর্তৃপক্ষ সিও-২৩৭ সংখ্যক কেবল অপারেটর এর লাইসেন্স বাতিল করেন এবং মিন্নাত আলীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানায় বিটিভির মহাপরিচালক। পরে জেলা প্রশাসক বিষয়টি নিয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে ব্যবস্থা গ্রহনে অপারগতা প্রকাশ করেন ইউএনও মো: তৌফিকুর রহমান। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার উপজেলার তালতলা, ভাগজোত, কাষ্টমস পশ্চিমপাড়া, ভেটুল তলা, ক্রোফোর্ডনগর, মুন্সিগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় তান্ডব চালিয়ে বৈধ ডিশ কেবল ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনের প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় মিন্নাত বাহিনীর লোকজন। বিষয়টি নিয়ে দৌলতপুর থানা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গেলে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গিয়াস উদ্দীন বলেন, আমি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) কর্তৃক কেবল নেটওয়ার্কের লাইসেন্স নিয়ে দৌলতপুর উপজেলায় বৈধভাবে কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। অপরদিকে রাজনৈতিকমহল ও প্রশাসন যোগসাজসে প্রকাশ্যে মিন্নাত আলী অবৈধপন্থায় ভারত থেকে সেট টপ বক্সের মাধ্যমে কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা করছে এবং আমার বৈধভাবে ব্যবসা করতে  একের পর এক বাধাগ্রস্ত করে আসছে। এরই একপর্যায়ে মিন্নাত আলী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিনসহ ক্যাডার বাহিনী নিয়ে হামলা চালিয়ে গত সোমবার এবং মঙ্গলবার আবারও কয়েক দফায় হামলা চালিয়ে কেবলেল সরঞ্জাাদী লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত আনুমানিক ২০লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে অথচ আমি বৈধভাবে ব্যবসা করতে পারছি না। এবং স্থানীয়ভাবে প্রশাসনের কোন সহযোগীতা পাচ্ছিনা।
 

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT