পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব শাখা অফিস এবং রাজধানীর বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখার মাধ্যমে নতুন নোট বিনিময় শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, এবার মোট ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট আমরা বিনিময়ের জন্য বাজারে ছেড়েছি। এর মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট প্রথমবারের মতো বাজারে ছাড়া হয়েছে এবং বাকি ১০ হাজার কোটি টাকা আগের জমা নেওয়া ছেঁড়া-ফাটা অচল নোটের পুনর্মুদ্রণ। এবার যেসব শাখা থেকে নতুন নোট পাওয়া যাচ্ছে- ন্যাশনাল ব্যাংক যাত্রাবাড়ী শাখা, জনতা ব্যাংক আবদুল গণি রোড করপোরেট শাখা, অগ্রণী ব্যাংক এলিফ্যান্ট রোড শাখা, সিটি ব্যাংক মিরপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংক কাওরানবাজার শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পান্থপথ বসুন্ধরা সিটি শাখা, উত্তরা ব্যাংক চকবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংক রমনা করপোরেট শাখা, ঢাকা ব্যাংক উত্তরা শাখা, আইএফআইসি ব্যাংক গুলশান শাখা, রূপালী ব্যাংক মহাখালী শাখা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক মোহাম্মদপুর শাখা, জনতা ব্যাংক রাজারবাগ শাখা, পূবালী ব্যাংক সদরঘাট শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক মালিবাগ শাখা, ওয়ান ব্যাংক বাসাবো শাখা, ইসলামী ব্যাংক শ্যামলী শাখা, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক দক্ষিণখান শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংক বনানী শাখা এবং ব্যাংক এশিয়া ধানমণ্ডি শাখা। ৮ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটি ব্যতীত ব্যাংকিং লেনদেন সময়ে নতুন নোট বিনিময় চলবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নোট বিতরণ করা হচ্ছে। এতে একজন গ্রাহক একবারই নোট বিনিময়ের সুযোগ পাচ্ছেন। এবার একজন নাগরিককে সর্ববোচ্চ ৮ হাজার ৭০০ টাকার নতুন নোট দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ২ থেকে ৫০ টাকা মূল্যমানের একটি করে প্যাকেট (১০০ পিস করে) রয়েছে। তবে ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন দেওয়া হচ্ছে ইচ্ছে মত। সারা দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য শাখা অফিসের নির্ধারিত কাউন্টার থেকে নোট বিনিময় করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের সুনির্দিষ্ট শাখার মাধ্যমে গ্রাহকেরা নতুন নোট বিনিময় করতে পারবেন।