বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবীকে অবরুদ্ধ করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
এদিকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তিন ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন- শহীদ মুখতার এলাহী ছাত্রাবাসের সভাপতি ইমতিয়াজ বসুনিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন এবং বঙ্গবন্ধু ছাত্রাবাসের সভাপতি মৃতিশ চন্দ্র বর্মন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতারা। পরে উপাচার্যের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা।
পুলিশ ও ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্যের সঙ্গে চাকরির দাবি নিয়ে দেখা করতে যায় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির নেতা হাদীউজ্জামান হাদী, ইমতিয়াজ বসুনিয়া, তিতাশ চন্দ্র, ফয়সাল আজম ফাইন, আজিজুল হাকিম রাসেল, মৃতিশ চন্দ্র বর্মণ, তৌফিকুর রহমান তুষার, রাজীব মণ্ডলসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী। এ সময় উপাচার্য তাদের দাবির মেনে নেওয়ার বিষয়ে অপারগতা জানালে তারা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
ছাত্রলীগ নেতারা জানান, উপাচার্য দীর্ঘদিন ধরে যোগ্যতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাদের চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর করেননি। তবে অস্থায়ী ভিত্তিতে হলেও চাকরি নিশ্চিত করতে হবে।
৫ মে উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে উল্লেখ করে ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতারা বলেন, যদি এই সময়ে উপাচার্য ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়োগ না দিয়ে যান, তবে তাকে অপমানিত হয়ে ক্যাম্পাস থেকে বিদায় নিতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া বলেন, শুনেছি ছাত্রলীগের কিছু প্রাক্তন নেতা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। তাদের দাবির বিষয়ে উপাচার্য সঠিক পদক্ষেপ নেবেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।