শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪ ১৭ই কার্তিক ১৪৩১
Smoking
 
কুমিল্লায় 'জঙ্গি আস্তানায়' অভিযান শুক্রবার
প্রকাশ: ০৯:২৮ am ৩০-০৩-২০১৭ হালনাগাদ: ০৯:৩২ am ৩০-০৩-২০১৭
 
 
 


জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাগমারা এলাকার বড় কবরস্থান সংলগ্ন ভবনে অভিযান চালানো হবে আগামী শুক্রবার। ভবনটি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দেলোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি ওই বাড়িটির মালিক।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির মধ্যেই এই জঙ্গি আস্তানার খবর পাওয়া গেল।

পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন বলেন, “আগামী বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। তাই এখনই কোনো অভিযান চালানো হবে না। শুক্রবার থেকে অভিযান চালানো হবে। বাড়িটি এখন ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। আশপাশের লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।”

মৌলভীবাজারের দুটি স্থানে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা ঘিরে ফেলার পর এবার কুমিল্লায় সন্দেহভাজন ওই জঙ্গি আস্তানাটি ঘিরে রাখা হয়েছে।

বাড়িটিতে একজন জঙ্গি পাঁচ থেকে ছয়টি শক্তিশালী বোমা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ে অবস্থান করছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার কুমিল্লা নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাগমারা সংলগ্ন গন্ধমতি বড় কবরস্থানের পশ্চিম পাশের একটি ভবনে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানার খবর পায় পুলিশ। তিনতলা বাড়িটির নিচতলায় সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অবস্থান আছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিকেল পাঁচটা থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

নির্মাণাধীন তিনতলা ভবনটি মূল রাস্তা থেকে ২০ গজ পশ্চিমে। এর নিচতলার একপাশে বিজিবির এক সদস্যের পরিবার ভাড়া থাকেন। দ্বিতীয় তলায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেস করে থাকেন। তৃতীয়তলা নির্মাণাধীন।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এক জঙ্গিকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কুমিল্লা নগরের দক্ষিণ বাগমারা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের বাড়িটি ঘেরাও করে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই বাড়িতে একজন জঙ্গি আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক কামরুল, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন, র‍্যাব-১১ কুমিল্লা কোম্পানির উপপরিচালক মেজর মোস্তফা কায়জারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন।

জঙ্গিদের এ চক্রের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন রয়েছেন বলে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে গত ৮ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর এলাকা থেকে আজওয়াজ ইমতিয়াজ অমি ওরফে জসিম এবং হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডে অপারেশনে চারজন জঙ্গি মারা যায়। সিলেটের আতিয়া মহলে চারজন, মৌলভীবাজারে একটি বাসায় ১৩ জন এবং গতকাল রাতে চট্টগ্রাম থেকে একজন গ্রেপ্তার হন। কুমিল্লার দক্ষিণ বাগমারা এলাকার এই ভবনে একজন রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাড়িটি ঘেরাও করে রেখেছে।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT