নগরীর দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে গুলি ও কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বেলা ২টা ১ মিনিট থেকে এ শব্দ শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। বেলা ২টা ১৯ মিনিটে একটি বিকট শব্দ পাওয়া যায়। এরপর অনবরত গুলি হতে থাকে। একজন সেনাসদস্যকে বের হয়ে আসতে দেখা গেছে।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়।
এদিকে ওই ভবন থেকে আটকেপড়া সবাইকে বের করে আনা হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার কিছু পরে অভিযানটি শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের কমান্ডা লে. কর্নেল ইমরুল কায়েস। তত্ত্বাবধান করছেন জিওসি আনোয়ারুল মোমেন।
অভিযানে পুলিশ ও র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনী সহযোগিতা করছে।
এর আগে সকাল ৮টায় ২০টি গাড়িতে করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। ৮টা ২০ মিনিটে জিওসি আনোয়ারুল মোমেন এসে উপস্থিত হন।
অভিযান শুরু আগে থেকেই সেনাবাহিনীর সদস্যরা ভবনের ভেতরে ও ছাদে অবস্থান নেন। জনসাধারণ ও সংবাদকর্মীদের ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে সরে যেতে বলা হয়। এলাকার বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার রাত ৭টা ৫০ মিনিটের কিছু আগে পরে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোদের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তারা রাতে পর্যবেক্ষণে ছিলেন।
এর আগে বিকেল ৪টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে আসে সোয়াট টিম। ঢাকা থেকে সড়ক পথে রওয়ানা দিয়ে সোয়াট টিম সদস্যরা সিলেটে পৌঁছেই বাড়িটির চারপাশে অবস্থান নেয়।
সেইসঙ্গে বিকেল সোয়া ৪টায় এএসপি রহমত উল্লাহ চৌধুরী সুমনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের দলও সিলেটে পৌঁছায়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে পাঁচতলা আছিয়া মহল ঘিরে রাখা হয়। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ওই বাড়ি থেকে বাইরের দিকে ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দিয়ে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। পুলিশও ওই বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালে দুপুরে আছিয়া মহলের ভেতরে থাকা সন্দেহভাজন জঙ্গিদের একজন বলেন, “তাড়াতাড়ি সোয়াট নিয়ে আসো, তোমরা পুলিশেরা আমাদের কিছুই করতে পারবে না। আমাদের হাতে সময় কম।”