বগুড়া আদমদীঘির সান্তাহারের সারের বাফার গুদামের প্রায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৪ হাজার মেট্টিক টন ইউরিয়া সার পরিবহন ও হস্তান্তর-গ্রহন না করে কালোবাজারে বিক্রি করে আত্মসাতের অভিযোগে ২ অক্টোবর সোমবার আদমদীঘি থানায় দূদকের দায়ের করা মামলায় ওই দিনই সান্তাহার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মামলার দুই নম্বর আসামী সারের পরিবহন ঠিকাদার মশিউর রহমানকে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)’র যান্ত্রিক বিভাগের উপ-প্রধান প্রকৌশলী এবং বর্তমানে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড(সিএফসিএল)’র নিয়ন্ত্রনাধীন সান্তাহার বাফার স্টক গুদামের সাবেক ইনচার্জ মো. নবির উদ্দিন খান ও সার পরিবহনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাউথ ডেল্টা শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মশিউর রহমান এবং সান্তাহার বাফার স্টক গুদামের সাবেক সহকারি হিসাব কর্মকর্তা (বর্তমানে ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানা) মাসুদুর রহমান যোগসাজস করে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ থেকে ১৪ নভেম্বর ২০১৬ তারিখের মধ্যে ৩ হাজার ৮শত ৮৯ দশমিক ৫৫ মেট্টিক টন ইউরিয়া সার গ্রহন ও হস্তান্তর এবং পরিবহন না করে কালোবাজারে বিক্রি করে। প্রতি মেট্টিক টন সারের সরকারি মূল্য ১৪ হাজার টাকা হিসাবে ৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭ শত টাকা এবং পরিবহন বিল বাবদ ৫৪ লাখ টাকা মোট ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৫৩ হাজার ৭শত আত্মসাত্ করেছেন।
মামলার বাদী দূদক সমম্বিত কার্যালয় বগুড়ার সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, বিস্তারিত ভাবে তথ্য উপাথ্য সংগ্রহ ও যাচাই বাছাই করতে গিয়ে মামলা করতে বিলম্ব হয়। তিনি আরও জানান, সোমবার দুপুরে মামলা দায়ের করার পর গোপন সুত্রে খবর পেয়ে সান্তাহারের সারের বাফার স্টক গুদাম এলাকায় অবস্থানকারী মামলার দুই নম্বর আসামী সারের পরিবহন ঠিকাদার মশিউর রহমানকে গ্রেফতার এবং আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।