চার ম্যাচে ৫ পয়েন্ট হারিয়ে ভালোই চাপে পড়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী। নবাগত সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে জয় তুলে লিগ যাত্রা করেছিল আকাশি-নীল দল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই ফরাশগঞ্জের কাছে অপ্রত্যাশিত হার। সেই ধাক্কা তারা সামলে ওঠে তৃতীয় ম্যাচে মোহামেডানকে হারিয়ে। কিন্তু কাল চতুর্থ ম্যাচে বিজেএমসির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে আবার অস্বস্তিতে আবাহনী।
২২ ম্যাচের লম্বা লিগ বলে প্রথম দিকে হোঁচট খাওয়ায় খুব দুশ্চিন্তার কিছু হয়তো নেই আবাহনীর। কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচের পর দলটির কোচ দ্রাগো মামিচ সেটা বলেও দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর কপালে চিন্তার ভাঁজ ঠিকই দেখা গেছে। চোটে পড়া উইঙ্গার সোহেল রানার অনুপস্থিতি দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে। সম্ভবত গোটা লিগেই সোহেল রানা ছিটকে গেলেন। সোহেল না থাকায় আবাহনীর আক্রমণের ধার কমে গেছে।
অথচ আক্রমণেই বেশি জোর দিয়ে কোচ এদিন রক্ষণে সামাদ ইউসুফকে রাখেননি। দুই বিদেশি কোটায় গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার ল্যান্ডিং দারবোয়ে আর এমেকা ডার্লিংটনকে রাখেন ওপরে। কিন্তু ল্যান্ডিং যেন আগের মতো বিচক্ষণ আর নন। গতিও হারিয়ে ফেলেছেন। আবাহনীর আক্রমণটা তাই ধারালো হতে পারেনি। এমেকাও যেন নিজের ছায়া! অল্প জায়গায় শরীরটাকে ঘুরিয়ে পোস্টে আগের সেই শট কই? দলের দুই বড় ভরসার এমন ধারহীন ফুটবল দেখে অসন্তোষ লুকোননি মামিচ।
তবে গোলের সুযোগ আবাহনী পেয়েছে ঠিকই। কিন্তু গোল আসেনি। মোহামেডানের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল করে দলকে জেতানো রুবেল মিয়া কাল সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও বাইরে মেরেছেন। তার ওপর দুবার বল লাগে সাইড পোস্টে।
এই গোল না পাওয়ার পেছনে কাদা মাঠ একটা বড় কারণ মনে করেন কোচ মামিচ। আবাহনী বিল্ডআপ ফুটবল খেলতে অভ্যস্ত, সেটা কাল খেলতেই পারেনি। তাই মামিচের কাঠগড়ায় মাঠ, ‘আমার পয়েন্ট হারানোর পেছনে বাজে মাঠই দায়ী। আমি এক রকম পরিকল্পনা করে এসেছি, মাঠে এসে দেখলাম পরিস্থিতি পুরো ভিন্ন। ছেলেরা এমন মাঠে স্বাভাবিক ফুটবলটা খেলতেই পারল না।’
আবাহনী এই ম্যাচ হেরেও যেতে পারত! বিজেএমসি নিয়েছিল রক্ষণাত্মক কৌশল, পাল্টা আক্রমণে তারা আবাহনীকে ঝাঁকুনি দিয়েছিল কয়েকবার। পাশবন মোল্লা একাই বারবার আবাহনীর রক্ষণে চিড় ধরানোর চেষ্টা করেছেন। প্রথমার্ধে আবাহনীর জালে একবার বলও জড়ায় বিজেএমসি। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। বিজেএমসির তাতে বড় দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। আবাহনীর কাছ থেকে একটা পয়েন্ট কেড়ে নেওয়াও অনেক। তবে দলটির কোচ জাকারিয়া বাবুর কথা, ‘আরে, আমরা তো জিততেই এসেছিলাম এবং জেতার মতোই খেলেছি।’