সঞ্চয়পত্রে টাকা খাটিয়ে ব্যাংক আমানতের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি সুদ পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এতে করে সঞ্চয়পত্রের চাহিদার কারণে বিক্রি বাড়ছে ব্যাপক। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নিট নয় হাজার ২৯ কোটি টাকা পেয়েছে সরকার।
এতে করে গত আগস্টে প্রথমবারের মতো সঞ্চয়পত্রে সরকারের মোট ঋণ দুই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সঞ্চয় পরিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী,আগস্ট পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে সরকারে মোট ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ২৬৫ কোটি টাকা। আগের মাস জুলাই শেষে সঞ্চয়পত্রে সরকারের মোট ঋণ ছিল এক লাখ ৯৬ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। আগস্টে নিট তিন হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা যোগ হওয়ায় মোট স্থিতি দুই লাখ কোটি টাকার ওপরে দাঁড়িয়েছে।
সঞ্চয়পত্রে বিপুল অঙ্কের এ ঋণ সরকারের ব্যয় বাড়াচ্ছে। সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে নেওয়া ঋণে সরকারকে ১১ শতাংশের বেশি সুদ ব্যয় করতে হচ্ছে। অথচ বর্তমানে ব্যাংক থেকে সরকার ৭ শতাংশের কম সুদে ৩ থেকে ২০ বছর মেয়াদি ঋণ পাচ্ছে। বাজেট ঘাটতি মেটাতে প্রতিবছরই বিদেশি উৎসের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেয় সরকার। কয়েক বছর আগেও ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎসের বেশিরভাগই আসত ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্টো চিত্র দেখা দিয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাংকে সরকারের ঋণ ১২ হাজার ৩৭ কোটি টাকা কমে নেমেছে এক লাখ এক হাজার ২৮৭ কোটি টাকায়। গত অর্থবছর ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ৩৮ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আগে নেওয়া ১৮ হাজার ২৯ কোটি টাকা পরিশোধ করে। আর সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হয় ৫২ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর সঞ্চয়পত্র থেকে ৩০ হাজার ১৫০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে এবং ব্যাংক থেকে ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।