সতীর্থদের অভিনন্দনে ভিজতে লাগলেন দাউদা সিসে। শেখ রাসেলের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ডের সঙ্গে উষ্ণ শুভেচ্ছা পেলেন কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকও। এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচেই বড় জয় পেয়েছে শেখ রাসেল। বিষয়টা কোচের জন্য স্বস্তি ও আনন্দের! বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কাল মুক্তিযোদ্ধাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে শেখ রাসেল। জোড়া গোল করেছেন দাউদা সিসে, বাকি গোলটি খালেকুজ্জামানের।
শেখ রাসেল গত মৌসুমেও অনেক স্বপ্ন নিয়ে লিগ শুরু করেছিল। কিন্তু লিগ শুরু হতেই জয় যেন সোনার হরিণ হয়ে উঠেছিল তাদের কাছে। শেষ পর্যন্ত লিগের নবম ম্যাচে অধরা জয়টা পায় শেখ রাসেল। তবে এবার লিগের প্রথম ম্যাচে জিতল তারা দাপটের সঙ্গেই।
আক্রমণভাগের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে শেখ রাসেল এবার দলে নিয়েছে দাউদা সিসেকে। গত মৌসুমে রহমতগঞ্জে খেললেও মাত্র তিনটি গোল করেছিলেন সিসে। কিন্তু এবার জ্বলে উঠলেন শুরু থেকেই। ফাঁকা পোস্টের কোনায় লেগে বল ফেরত না এলে কালই হয়তো লিগের প্রথম হ্যাটট্রিকটা পেয়ে যেতেন। তবে হ্যাটট্রিক হয়নি বলে আফসোস নেই সিসের, ‘দল জিতেছে এতেই খুশি। হ্যাটট্রিকের সুযোগ হয়তো আরও আসবে।’ প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা সিসে নিজের লক্ষ্যটাও জানিয়ে দিলেন কাল, ‘গতবার চোটের কারণে সেভাবে খেলতে পারিনি। এবার যত খুশি গোল বাড়িয়ে নেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’
সিসের এই ব্যক্তিগত লক্ষ্যের সঙ্গে শেখ রাসেলের লক্ষ্য শিরোপা জয়। সেই লক্ষ্যে ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণে ওঠে শেখ রাসেল। তবে দলটিকে প্রথম গোল এনে দেন খালেকুজ্জামান, ৩২ মিনিটে। মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক উত্তম বড়ুয়া জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন, সুযোগটা কাজে লাগিয়ে তাঁর মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে। ৩৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সিসে। বক্সে ঢুকে তিন ডিফেন্ডারকে দারুণভাবে কাটিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে করেন দ্বিতীয় গোল। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও অবশ্য ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছে মুক্তিযোদ্ধা। অন্তত একটি গোল তো শোধ করতেই পারত তারা। মুক্তিযোদ্ধা মিডফিল্ডার সৈকত মাহমুদ মুন্না ৪৪ মিনিটে গোলরক্ষক জিয়াউরকে কাটিয়ে সামনে এগিয়েও বল মেরে দেন সাইডপোস্টে! ম্যাচের ৭৯ মিনিটে আলমগীর রানা সুযোগ পেয়েও গোল করিয়েছেন সিসেকে দিয়ে। মুক্তিযোদ্ধা গোলরক্ষক উত্তম বড়ুয়া তখন জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন, আলমগীর রানা পোস্টে শট না নিয়ে বল বাড়িয়ে দেন সিসের কাছে। ঠান্ডা মাথায় গাম্বিয়ান স্ট্রাইকারের গোল! ৮৯ মিনিটে শট পোস্টে লেগে না ফিরলে হ্যাটট্রিকই তো হয়ে যায় সিসের।
জয়ে লিগ শুরু করতে পেরে ভীষণ উচ্ছ্বসিত শেখ রাসেল কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক, ‘গত কয়েক মাসে একটিও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারিনি আমরা। তারপরও আজ ছেলেরা ভালো খেলেছে। দলের মধ্যে সবার বোঝাপড়া ছিল ভালো। জয়ে শুরু করতে পেরেছি বলেই বেশি ভালো লাগছে।’
আজকের খেলা: আরামবাগ-রহমতগঞ্জ (সন্ধ্যা ৬টা, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম)।