পুনরায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার তিন দিন পর ফের মেয়রের চেয়ারে বসেছেন আরিফুল হক চৌধুরী। আইনি লড়াইয়ে মেয়র পদ ফিরে পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগর ভবনে গিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসেন তিনি।
নগরীর কুমারপাড়ার নিজ বাসা থেকে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নগর ভবনে যান সিসিক মেয়র আরিফ। নগর ভবনে কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আরিফকে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান।
মেয়রের চেয়ারে বসে আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার প্রতি যে অবিচার করা হয়েছিল, তার বিচার আমি পেয়েছি। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে মেয়রের চেয়ারে বসেছি আমি।’
এর আগে, গত রোববার শোডাউন করে নগর ভবনে ফিরে মেয়রের চেয়ারে বসেছিলেন আরিফ। তবে পৌনে তিন ঘণ্টার মাথায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আরিফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সুরঞ্জিত সেনের জনসভায় বোমা হামলার মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় আরিফকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরদিন উচ্চ আদালতে মন্ত্রণালয়ের আদেশের বিরুদ্ধে রিট করেন আরিফ। আদালত মন্ত্রণালয়ের আদেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। আদালতের নির্দেশনার বিরুদ্ধে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সে আবেদন আজ বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে মেয়রের চেয়ারে বসতে আরিফের সামনে কোনো বাধা ছিল না।
২০১৩ সালের ১৫ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল হক চৌধুরী। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় জড়িয়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তাকে মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে আরিফের নাম সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার মামলার চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
দীর্ঘ দুই বছর ৫ দিন কারাভোগ করার পর চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি সব কয়টি মামলায় জামিনে মুক্ত হন তিনি। গত ১৩ মার্চ আরিফের রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বরখাস্তের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে গত ২৩ মার্চ হাইকোর্টের দেওয়া আদেশই বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।