সাতদিনের মধ্যে দশ জেলার মহাসড়ক থেকে নসিমন-করিমন ও ভটভটি প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে জেলাগুলোতে এসব যানবাহন চলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
জেলা দশটি হচ্ছে- যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, নড়াইল ও চুয়াডাঙ্গা।
এ ব্যাপারে জারি করা রুল মঞ্জুর করে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) চূড়ান্ত এ রায় দেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ওই রুল জারি করেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. হাবিবুল গণির হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রুলে মহাসড়কে যান চলাচলের অনুমতির ক্ষেত্রে ‘মোটর ভেহিকেল অর্ডিন্যান্স’ এর বিধান অনুসরণ করা এবং এসব মহাসড়কে এ ধরনের যান চলাচল বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চান আদালত।
স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, আইজিপি, ডিআইজিসহ দশ জেলার পুলিশ সুপারদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
তিনি জানান, নসিমন-করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে ওই দশ জেলার পুলিশ সুপারকে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দেশের সকল জেলার মহাসড়কে যেন এসব অনিবন্ধিত যান চলাচল করতে না পারে, সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও সংশ্লিষ্ট জেলার হাইওয়ে ডিআইজিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনিবন্ধিত গাড়ি চলাচল বন্ধে জেলা প্রশাসকরা যেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন, সেজন্য সরকারকে সার্কুলার জারি করতে বলা হয়েছে।
এ মামলার অন্য বিবাদীদের আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়েছে কি-না বা কতোটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে, তা উল্লেখ করে প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর হলফনামা আকারে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশের মহাসড়কগুলোতে এসব যান চলাচল করলে চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।