শৈশব থেকেই সম্পর্ক। এরপর সময় গড়িয়েছে অনেক। আন্তোনেলা রোক্কুস্সো-লিওনেল মেসি ছিলেন দুজন দুজনার। সুখের সংসারে এসেছে দুটি সন্তানও। আলোচিত এই জুটি এবার বিয়ের মাধ্যমে সম্পর্কটাকে আরও জোরদার করলেন।
৩০ বছর বয়সী মেসি ও ২৯ বছর বয়সী রোক্কুস্সো দীর্ঘদিন ধরে এক ছাদের নিচেই ছিলেন। ২০১২ সালে এই জুটির ঘর আলো করে আসে প্রথম সন্তান চিয়াগো; ২০১৫ সালে জন্ম নেয় দ্বিতীয় সন্তান মাতেও।
মেসির জন্মস্থান রোসারিওর সিটি সেন্টারে শুক্রবার মেসি-রোক্কুস্সো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন ২৬০ জন অতিথি; যাদের মধ্যে ফুটবল তারকা ও সেলিব্রেটি ছিলেন অনেকে।
বিয়েতে বার্সেলোনা-ভিত্তিক খ্যাতনামা ডিজাইনার রোসা ক্লারার ডিজাইন করা পোশাক পরেছিলেন রোক্কুস্সো। মেসি পরেছিলেন সাদা শার্টের ওপর স্যুট-প্যান্ট।
নেইমার, লুইস সুয়ারেস, সেস ফাব্রেগাস, জেরার্দ পিকে, দানি আলভেস, সের্হিও আগুয়েরো থেকে শুরু করে মেসির কাছের বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পিকে আসেন তার স্ত্রী কলম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরাকে নিয়ে। এতসব তারকাদের নিরাপত্তা দিতে ছিল একশ পুলিশ।
মেসির বিয়েতে দাওয়াত পাননি সাম্প্রতিক সময়ে তার কোচ থাকা কেউই। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বার্সেলোনার সাবেক কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা। এমনিক আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনাও দাওয়াত না পাওয়াদের তালিকায় ছিলেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম।
আলোচিত এই জুটির হাতে-হাত রেখে পথচলার শুরুটা সেই শৈশব থেকে। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে রোক্কুস্সো-মেসির প্রথম দেখা। রোক্কুস্সো মেসির ঘনিষ্ঠ বন্ধুর আত্মীয়।
১৩ বছর বয়সে আর্জেন্টিনা ছেড়ে স্পেনে পাড়ি জমান মেসি। কিন্তু সময়ের অনেক বাকবদল হলেও রেকুস্সোর সঙ্গে তার সম্পর্ক অটুট ছিল।
মেসির বিয়ের খবর জোগাড় করার অনুমতি পেয়েছেন ১৫০ জন সাংবাদিক। তবে বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজকরা আগেভাগেই সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন বিয়ের মূল অনুষ্ঠান যেখানে, সেখানে যাওয়ার অনুমতি পাবেন না তারা।