পাকিস্তান জাতীয় দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৩৩ রানে হেরেছে বিশ্ব একাদশ। ফলে, ২-১ এ সিরিজ জিতলো স্বাগতিক পাকিস্তান।
লাহোরের গাদ্ধাফি স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ও বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাপ তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলতে নামে দু’দল। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিশ্ব একাদশের দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস। ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ৪ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৮৩ রান। জবাবে, নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারানো বিশ্ব একাদশ ১৫০ রান তুলতে সক্ষম হয়।
বিশ্ব একাদশের ওপেনার তামিম প্রথম ম্যাচে ১৮, দ্বিতীয় ম্যাচে ২৩ আর শেষ ম্যাচে করেন ১৪ রান।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটিতে আসে ৬১ রান। ওপেনার ফখর জামান ব্যক্তিগত ২৭ রান করে বিদায় নেন। ইনফর্ম ব্যাটসম্যান ওপেনার আহমেদ শেহজাদ আর দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বাবর আজম দলকে সামনে দিকে টেনে নেন। ১০২ রানের জুটি গড়েন তারা। দলীয় ১৬৩ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। আউট হওয়ার আগে শেহজাদের ব্যাট থেকে আসে ৮৯ রান। তার ৫৫ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার আর ৩টি ছক্কার মার।
বাবর আজম ৩১ বলে ৫টি চারের সাহায্যে করেন ৪৮ রান। শোয়েব মালিক ৭ বলে দুটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ১৭ রান। বিশ্ব একাদশের থিসারা পেরেরা দুটি উইকেট নিলেও আর কোনো বোলার উইকেট পাননি। প্রথম দুটি উইকেট ছিল রান আউট।
১৮৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামেন দুই ওপেনার হাশিম আমলা এবং তামিম ইকবাল। তামিম ১০ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ১৪ রান করে উসমান খানের বলে বোল্ড হন। আরেক ওপেনার হাশিম আমলা ১২ বলে চারটি বাউন্ডারিতে করেন ২১ রান। বেন কাটিং ৫, দলপতি ডু প্লেসিস ১৩, জর্জ বেইলি ৩ রান করলেও ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন থিসারা পেরেরা। ১৩ বলে দুটি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৩২ রান করেন এই লঙ্কান।
ডেভিড মিলার ২৯ বলে ৩২ আর ড্যারেন স্যামি ২৪ বলে ২৪ রান করলেও দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেনি। স্যামি অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের হাসান আলি দুটি উইকেট তুলে নেন। একটি করে উইকেট পান ইমাদ ওয়াসিম, উসমান খান এবং রুম্মন রইস।
এর আগে প্রথম ম্যাচে সরফরাজ-বাবর-ফখর-মালিকদের নিয়ে সাজানো পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০ রানে হেরেছিল বিশ্ব একাদশ। ১-০ তে লিড পেয়েছিল পাকিস্তান।
তবে, ঘুরে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নেয় তামিম-ডু প্লেসিস-তাহির-মিলার-আমলাদের বিশ্ব একাদশ। সমতায় (১-১) ফিরতে বিশ্ব একাদশের টার্গেট ছিল ১৭৫ রান। ১ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে ৭ উইকেটের জয় পায় তামিমরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান ১৭৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে, ১৯.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে বিশ্ব একাদশ।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, আইসিসি তিনটি ম্যাচকেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মর্যাদা দিয়েছে।
বিশ্ব একাদশ: তামিম ইকবাল, হাশিম আমলা, ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), জর্জ বেইলি, ডেভিড মিলার, থিসারা পেরেরা, ড্যারেন স্যামি, বেন কাটিং, স্যামুয়েল বদ্রি, মরনে মরকেল, ইমরান তাহির।
পাকিস্তান একাদশ: ফখর জামান, আহমেদ শেহজাদ, বাবর আজম, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান, হাসান আলী, উসমান খান, রুম্মন রইস।