বিপিএলে টিচাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচটি ঘিরে বাজি হয়েছে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা। এই হিসাব শুধু অনলাইনভিত্তিক একটি বেটিং সাইটে’র।
পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানেও আখড়া জমেছে জুয়ার। বিদেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন জুয়া গ্রাস করেছে বাংলাদেশের ফ্রাঞ্চাইজি লিগ বিপিএলকেও।
মঙ্গলবার টিচাগং ভাইকিংসকে হারিয়ে যখন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ম্যাচ শেষ করলো। তখন অনন্ত ৩শ’ কোটি টাকারও দফারফা হলো। চিটাগং আর কুমিল্লার ম্যাচকে ঘিরে প্রায় ৩শ কোটি টাকার বাজি ধরেছিলো বিশ্বের বিভিন্ন জুয়াড়ি সংস্থা।
কিভাবে চলছে এই জুয়ার আসর? যুক্তরাজ্য ভিক্তিক একটি ওয়েবসাইটড-বেটফেয়ারে ধরা হয়েছিলো এই বাজি। গত বছর ১২টি দেশের জুয়া খেলার ওয়েবসাইট বন্ধ করেছিল বিটিআরসি। তবে এতে থেমে নেই জুয়াড়িরা। নতুন নতুন সাইট খুলে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কর্মকান্ড। শুধু ম্যাচ নিয়ে নয়, এই জুয়া এতটাই ব্যাপক আকার ধারণ করেছে যে, তা গড়িয়েছে প্রতি বলে বলে।
একটি ওয়েবসাইট যখন এই অবস্থা তবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অগণিত সব ওয়েবসাইট মিলিয়ে অঙ্কটা বলা মুশকিল। বিপিএলের কারণে এই সাইটগুলোতে বিদেশিদের পাশাপাশি দেশিয় বাজিকরদের আনাগোণাও বেড়েছে।
মুলত বাজিকরের দু’পক্ষকে এক করে দিতে এজেন্ট হিসেবে কাজ করে ‘বেট ফেয়ারের’ মতো সাইটগুলো। কোন একটি ম্যাচকে নির্দিষ্ট দর দিয়ে দেয়া, পরে দু’পক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিজয়ীকে লাভসহ ফিরিয়ে দেয়াই তাদের কাজ। ম্যাচ শেষে জয়ী বাজিকরের কাছ থেকে ৬ থেকে ৫ শতাংশ টাকা কেটে নেয়া হয় চার্জ হিসেবে।
সে হিসেবে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তাদের আয় ছিলো প্রায় ৪শ’ মিলিয়ন ডলার। প্রচলিত আইন মেনেই এই জুয়ার ব্যবসা করে যাচ্ছে তারা।
তবে বুকি হিসেবেও কাজ করছে জনপ্রিয় ‘বেট থ্রি সিক্সটি ফাইভের’ মতো অনেক ওয়েবসাইট। এই সাইটে কোন চার্জ ধরা হয়না, বাজিকরের সঙ্গে সরাসরি চুক্তিতে যায় তারা। নিজে উপস্থিত থেকে জুয়া খেলতে গেলে নানা সমস্যায় পড়তে হয় বলে অনলাইন ভিক্তিক এই খেলায় মজেছে বাংলাদেশেরও লাখো তরুণ।
এদিকে বাংলাদেশে এর মধ্যে ক্রিকেট জুয়ার বলী হয়েছেন রাজধানীর বাড্ডার এক তরুণ নাসিম। তার পরিবারের অভিযোগ ক্রিকেট নিয়ে জুয়া বন্ধের প্রতিবাদ করায় তাকে খুন করেছে মহল্লার আরেক যুবক রজমান।