প্যারিসে মঙ্গলবার রাতে রীতিমত উড়ে গেল বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের ৪-০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি! পিএসজির রক্ষণভাগে যা একটু আলো ছড়ালেন নেইমার। কিন্তু অদম্য হয়ে ওঠা দি মারিয়াদের সামনে তা কোনো পার্থক্যই গড়তে পারেনি।
২০১২-১৩ মৌসুমে এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল বার্সেলোনার। সেবার সেমি-ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ নিজেদের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ আরেনায় ৪-০ গোলে হারিয়েছিল দলটিকে।
পিএসজির দারুণ জয়ে জোড়া গোল করেন আর্জেন্টিনার তারকা মিডফিল্ডার দি মারিয়া। একবার করে বল জালে জড়ান কাভানি ও ড্রাক্সলার।
দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেও এক ঘণ্টা পর মাঠ ছাড়েন ডি মারিয়া। ইনজুরি ও ফিটনেস সমস্যা এড়াতে ৬১ মিনিটে তার বদলি হিসেবে লুকাস মৌরাকে মাঠে নামান কোচ ইউনাই এমেরি। বল দখলে এগিয়ে থাকলেও স্বাগতিকদের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণই করে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। সাতবারের প্রচেষ্টায় মাত্র একবার স্বাগতিকদের গোলমুখে শট নেয় লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে ২০১৩ ও ২০১৫ আসরে বার্সার কাছে হেরে বিদায় নেয় পিএসজি। এবার প্যারিসে এসে রীতিমতো ধরাশায়ীই হলো লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। বড় ব্যবধানের জয়ে শেষ আটে এক পা দিয়ে রাখলো ফ্রেঞ্চ জায়ান্টরা।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে সতীর্থদের উদযাপনের মধ্যমনি বনে যান ডি মারিয়া। প্রথমার্ধের পাঁচ মিনিট আগে ব্যবধান দ্বিগুন করেন জার্মান মিডফিল্ডার জুলিয়ান ড্রাক্সলার। বিরতির পর ১০ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের দর্শনীয় শটে বার্সাকে ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ স্টার ডি মারিয়া।
ভিজিটরদের জালে ৭১ মিনিটে বল পাঠিয়ে ব্যবধান ৪-০ করেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানি। পুরো ম্যাচ জুড়ে ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর (মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার) চোখেমুখে গোলের জন্য হাহাকারই ফুটে উঠে।
বার্সার সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ। ন্যু ক্যাম্পে ফিরতি পর্বের ম্যাচ আগামী ৯ মার্চ। এদিকে, শেষ ষোলোর প্রথম লেগের অপর ম্যাচে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার মাঠে ১-০ গোলে হার মানে জার্মান জায়ান্ট বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড।