জুরিখে দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডসের রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার পালা শেষ হলো। অনুমিত ভাবেই ২০১৬ ব্যালন ডি’অর জয়ী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ফিফা বর্ষসেরা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। তার হাতেই উঠলো এই পুরস্কার।
এবারের বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড়ের তালিকায় শীর্ষ তিনে মনোনয়ন পান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ/পর্তুগাল), অ্যান্তোনিও গ্রিজমান (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ/ফ্রান্স) এবং লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা/আর্জেন্টিনা)।
পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসিকে টপকে ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার জিতলেন চারবারের বর্ষসেরা রোনালদো।
সর্বোচ্চ গোলস্কোরার (৫১টি) হিসেবে ২০১৬ সাল শেষ করেছেন বার্সেলোনা আইকন মেসি। কাতালানদের টানা দ্বিতীয় লা লিগা ও কোপা দেল রে এনে দিতে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। গতবছর জাতীয় দল আর্জেন্টিনাকে নিয়ে গেছেন কোপা আমেরিকার ফাইনালে।
অন্যদিকে, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরো জিতে পর্তুগালের জার্সিতে প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপার স্বাদ নেন রোনালদো। শুধু তাই নয়, ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ডকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে গত বছরটা অবিস্মরণীয় করে রাখেন সিআর সেভেন।
ভালো সুযোগ ছিল অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের স্ট্রাইকার অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যানেরও। ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল ও নিজের দেশ ফ্রান্সের হয়ে ইউরোর ফাইনাল খেলেছেন তিনি।
ফ্রেঞ্চ ফুটবল ১৯৫৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর নামে বর্ষসেরার পুরস্কার দিয়ে আসছিল। ২০১০ সাল থেকে ফিফার সঙ্গে একত্রিত হয়। আর শেষ ছয় বছর দু’টি সংস্থা একসঙ্গেই পুরস্কার দিয়েছে। কিন্তু ফিফার নতুন প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো আসার পর বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের মধ্যে এটি ছিল উল্লেখযোগ্য।
বর্ষসেরা হওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় ভোটিং পদ্ধতি। যেখানে বিশ্বের প্রতিটি দেশের জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ও কোচের ভোটে ৫০ শতাংশ নির্বাচিত হয়। আর বাকি ৫০ শতাংশ অনলাইনে সমর্থক (২৫ শতাংশ) ও বিশেষ কিছু সাংবাদিকের ভোটে (২৫ শতাংশ) নির্বাচিত হয়।