মাত্রই দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব নিয়ে ফেডারেশন কাপের একাধিক ম্যাচ দেখা হয়নি। এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলের জন্য যে দল হাতে পেয়েছেন তা নিয়েই মাঠে নেমে পড়েছেন। এদের বেশিরভাগেরই খেলা অস্ট্রেলিয়ান কোচ দেখেননি। কয়েক দিনের অনুশীলনে দেখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ৫৪ থেকে ৩৬ জনে দল নামিয়ে এনেছেন। ঈদের ছুটির আগে আরও চারজনকে কমিয়েছেন। আগামী শুক্রবার থেকে ৩২ জনকে নিয়ে পুরোদমে অনুশীলন শুরুর কথা। ঈদের আগে কোচ ফরোয়ার্ড জোন নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। সবাইকে পরখ করতে পারেননি। রুবেল মিয়া, জুয়েল রানা ও হেমন্ত ভিনসেন্টরা যে ক্যাম্পেই আসেননি। কেউ অসুস্থতা কিংবা ইনজুরির কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার বিকেএসপিতে ফের শুরু হওয়া ক্যাম্পে সবারই আসার কথা। তখন কোচ সবাইকে দেখে পরখ করার সুযোগ পাবেন। আগামী ১৯ জুলাই থেকে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দলের মিশন শুরু হবে। ‘ই’ গ্রুপে জর্ডান, তাজিকিস্তান ও স্বাগতিক ফিলিস্তিন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। এর আগে কোচ অর্ড নিজের দলকে পরখ করার জন্য একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচ পাচ্ছেন। ৭ জুলাই ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে প্রথম ম্যাচ। দ্বিতীয়টি নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দলের বিপক্ষে, ১১ জুলাই। তারপর ১৪ জুলাই শ্রীলঙ্কার আর্মি সর্বশেষ প্রতিপক্ষ। আবাহনী ও লঙ্কানদের বিপক্ষে ঢাকায় হবে ম্যাচ। কাঠমান্ডুতে দল গিয়ে খেলবে। তবে শ্রীলঙ্কা আর্মি দলটি ঢাকায় আরও একটি ম্যাচ খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অবশ্য প্রতিপক্ষ অর্ডের দল নয়, ঢাকা আবাহনী হতে পারে। প্রস্তুতি ম্যাচ নিয়ে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ম্যানেজার সত্যজিত্ দাশ রুপু কাল বলেছেন, ‘অনূর্ধ্ব-২৩ দল ফিলিস্তিন যাওয়ার আগে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। ঢাকায় দুটি ও একটি কাঠমান্ডুতে হবে। এতে করে অন্তত দলের প্রস্তুতিটা জোরদার হবে। কোচ সবাইকে দেখতে পাবেন। খেলোয়াড়রা নিজেদের ঝালিয়ে নিতে পারবে।’ তারপর ফিলিস্তিন সফর নিয়ে তার কথা, ‘আসলে এএফসির আসরে আমাদের ইতিবাচক ফল করা কঠিন বলতে পারেন। প্রতিপক্ষ তিনজনই আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তাদের প্রস্তুতিও ভালো। আমরা আমাদের মতো করে খেলার চেষ্টা করব। যতদূর সম্ভব কোচ ভালো ফল করার দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন। এখন সময় বলে দেবে আমরা কী করতে পারব।’