প্রতারণার মাধ্যমে স্থানীয় দৈনিক ‘সিলেটের ডাক’ পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় দেন।
এর আগে ৬ মার্চ সোমবার দুপুরে সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এ তারিখ ঠিক করেন বিচারক।
এদিকে, পলাতক অবস্থায় প্রতারণার মাধ্যমে সিলেটের স্থানীয় দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ করার পরও সিলেটের জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে অনিয়ম করেছেন। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ওই দিনই (সোমবার) বাদী পক্ষের আইনজীবী আদালতে একটি লিখিত আবেদন করেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. শহীদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাগীব আলী ও আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা করেন সিলেট নগরের উপশহরের বাসিন্দা ও ছাতক প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। পলাতক অবস্থায় সম্পাদনাজনিত প্রতারণার অভিযোগে রাগীব আলীর ৫৮ বছর ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের ২৯ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেন মামলার বাদী।”
আদালত ওই দিন মামলাটি আমলে নিয়ে দণ্ডবিধির ৪১৭ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। তবে সমন পাওয়ার পর জবাব না দেয়ায় পরের মাসে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
প্রসঙ্গত, সিলেটের হাজার কোটি টাকার দেবোত্তোর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখলের অভিযোগে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর গত বছরের ১০ আগস্ট রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই ভারতে পালিয়ে যান। সেই সময় রাগীব আলী সিলেটের ডাক পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এবং তার ছেলে আবদুল হাই সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। পরে আব্দুল হাইকে সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হলেও রাগীব আলী এখনো পদে বহাল আছেন।
এরআগে একই আদালত গত ২ ফেব্রুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মাধ্যমে তারাপুর চা বাগান দখল মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইয়ের ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন।