পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান অতিরিক্ত আইজি (গ্রেড-১) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীকেই নতুন পুলিশপ্রধান অর্থাৎ ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে এ সংক্রান্ত একটি প্রশাসনিক আদেশ জারি করা হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ অনুমোদন করেছেন। বর্তমান আইজিপি একেএম শহীদুল হকের চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। ওই দিনই জাবেদ পাটোয়ারী আইজিপি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তার দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। তিনি ষষ্ঠ বিসিএস (১৯৮৪) পুলিশ ক্যাডারে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিসে যোগ দেন। স্বচ্ছ ইমেজের কর্মকর্তা হিসেবে জাবেদ পাটোয়ারীর বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলামকে জাবেদ পাটোয়ারীর স্থলাভিষিক্ত করা হচ্ছে। আরেক অতিরিক্ত আইজিপি মো. আবদুস সালামকে শিল্প পুলিশের প্রধান হিসেবে পদায়ন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার রাতে এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপও অনুমোদন করেছেন।পুলিশের পরবর্তী আইজি কে হচ্ছেন- এ নিয়ে কিছু দিন ধরেই জোর আলোচনা চলছিল পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট মহলগুলোতে। সরকার নতুন কাউকে শহীদুল হকের স্থলাভিষিক্ত করবে, নাকি তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেবে- এ নিয়েও নানা গুঞ্জন চলছিল। অবশেষে সরকার শহীদুল হকের মেয়াদ না বাড়িয়ে জাবেদ পাটোয়ারীকেই নতুন আইজিপি হিসেবে বেছে নেয়। অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) একেএম শহীদুল হককে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর নতুন আইজিপি হিসেবে বেছে নেয় সরকার। পর দিন তিনি এ পদে যোগ দেন। গত বছরের জুলাই মাসে আইজিপি একেএম শহীদুল হককে বদলের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নতুন আইজিপির বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়।পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারীর নামও আইজিপি হিসেবে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়। এই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর আগেই ফাঁস হয়ে যায়। এর পর একটি পক্ষ প্রস্তাবের বিরোধিতা শুরু করে। জোর আলোচনার মধ্যে তখন সরকার শহীদুল হককে বদলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে; পুলিশ প্রশাসনে চাউর হয় নানা গল্প।