নেপালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায়। পাঁচজন যাত্রীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হচ্ছেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের উম্মে সালমা ও নাজিয়া আফরিন চৌধুরী। আরও রয়েছেন বুয়েটের সকারী অধ্যাপক ইয়ানা কবির, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল ইসলাম, খাজা রশিদ।
বিমান দূর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এবং ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানের ৬৭ জন যাত্রীর মধ্যে এর মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশের ও ৩৩ জন নেপালের বাকী দুইজন মালদ্বীপ ও চীনের নাগরিক বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলার একটি বিমান কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়েছে।
ইউএস বাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, দুপুর ১২টা ৫১মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৬৭ জন যাত্রী নিয়ে এটি ছেড়ে যায়।
ইউএস বাংলার মুখপাত্র কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা বিমান বিধ্বস্ত হবার খবর পেয়েছেন। তবে, কি কারণে দুঘর্টনা ঘটেছে, এবং কতজন হতাহত হয়েছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোন তথ্য তিনি তাৎক্ষনিকভাবে জানাতে পারেননি।তবে প্রাথমিকভাবে বিধ্বস্ত হবার কারণ জানাতে পারেননি কর্মকর্তারা। হতাহতের সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
এ পর্যন্ত ৩০ জনকে উদ্ধার করে নেপালের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার রাজ কুমার ছেতরি জানিয়েছেন, আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে দমকল কর্মীরা।
বিমান বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমান থেকে ধোয়া বেরুতে এবং তাড়াহুড়া করে যাত্রীদের বিমান থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেছেন তারা।
সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন পোস্টে দেখা যাচ্ছে কাঠমুন্ডু বিমানবন্দর থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডুলী উঠছে।
ইউএস বাংলার মোট আটটি বিমান আছে, এর মধ্যে চারটি ড্যাশ এইট, চারটি বোয়িং। এর মধ্যে একটি ড্যাশ এইট নষ্ট থাকার কারণে কিছুদিন যাবত হ্যাঙ্গারে পড়ে রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন গন্তব্য ছাড়াও কোলকাতা, কাঠমান্ডু, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, দোহা এবং মাসকট রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে ইউএস বাংলা।