২০১৮ খ্রিস্টাব্দ উপলক্ষে দেশ ও দেশের বাইরে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, ১ জানুয়ারি প্রতিবছর নতুন বার্তা নিয়ে আমাদের দ্বারে উপস্থিত হয়। পুরোনো বছরের ব্যর্থতা, গ্লানি, হতাশাকে ঝেড়ে ফেলে নব উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায় নববর্ষ।’
নববর্ষ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেছেন খালেদা জিয়া।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাশাপাশি অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তৎপর হতে পারলে নতুন বছরটি হয়ে উঠতে পারে সাফল্যময়।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘গেল বছরটি এখন আমাদের মনে স্মৃতি হয়ে থাকবে। গত বছরের বেশকিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা, স্বজন হারানোর বেদনা এবং অধিকার হারানোর যন্ত্রণা আগামী বছরে আমাদের একদিকে যেমন বেদনার্ত করবে আবার অন্যদিকে নতুন উদ্যমে অধিকার ফিরে পেতে তাগিদ সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বময় সংঘাত আর অশান্তির ঘটনা প্রবাহে নতুন বছরটিকে গণতন্ত্র, শান্তি ও অগ্রগতির বছরে পরিণত করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে অজস্র রক্তঋণে অর্জিত গণতন্ত্র অপহৃত হয়েছে। গণবিরোধী শক্তি জনগণের সব অধিকারকে বন্দি করে রেখেছে। এমতাবস্থায় সব গণতান্ত্রিক শক্তির মিলিত সংগ্রামে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘নতুন বছরটি সবার জীবনে বয়ে আনুক বিজয়, অনাবিল সুখ ও শান্তি, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে প্রবাহিত হোক শান্তির অমিয় ধারা, দূর হয়ে যাক সব অন্যায়-উৎপীড়ন, নির্যাতন। বন্ধ হোক হত্যা, গুম, খুন, যুদ্ধ বিগ্রহ ও অমানবিকতাসহ সব ধরনের দমনমূলক নৃশংসতা-নববর্ষের শুরুতে আমি এ কামনা করছি। হৃত গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাই।’