ল্যাব টেকনিশিয়ানকে মেরে রক্তাক্ত করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন টেকনিশিয়ান নাজমুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, দুপুর ১টায় রসায়ন বিভাগের ল্যাবে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষর্থীদের ব্যবহারিক ক্লাস নিচ্ছিলেন প্রভাষক নুসরাত তাজিন তনু। এ সময় ল্যাব টেকনিশিয়ান নাজমুল ইসলাম ক্লাসের বিষয়ে তাকে পরামর্শ দেন। এতে ওই শিক্ষক অপমান বোধ করে তাকে বকাবকি করেন। ঘটনা শুনে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন টেকনিশিয়ান নাজমুলকে মারধর করেন।
টেকনিশিয়ান নাজমুল ইসলামের দাবি, ঘটনা ছিল সামান্য। তনু ম্যাডাম যেভাবে ক্লাস নিচ্ছিলেন তাতে সময় বেশি লাগছিল। অন্য শিক্ষকরা যেভাবে ক্লাস নেন আমি সেটা বলতে চেয়েছি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হন। এরপর হঠাৎ মহিউদ্দিন স্যার আমার ওপর চড়াও হন। দৌড়ে ডিনের কক্ষে আশ্রয় নেই। মহিউদ্দিন স্যার আমাকে সেখান থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন। এতে আমার হাতের একটি আঙুল ফেটে গেছে ও বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন বলেন, মারধরের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। সে তনু ম্যাডামের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। এ বিষয় নিয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর সে তাকে মারা হয়েছে মর্মে অভিযোগ দিচ্ছে।
ঘটনার বিষয়ে প্রভাষক নুসরাত তাজিন তনু বলেন, ক্লাস নেয়ার বিষয়ে আমাকে পরামর্শ দিতে আসে। এতে আমি অপমান বোধ করি। নিষেধ করলেও সে উচ্চবাচ্য শুরু করে। পরে বিষয়টি অন্য শিক্ষকদের জানাই। তাকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।