১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নগরজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। রোববার (১৩ অগস্ট) ধানমণ্ডি ৩২ নং এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা জনান। তিনি আরও জানান, ১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৬টয় প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, কূটনীতিক, ভিআইপি ব্যক্তিবর্গ ধানমন্ডি ৩২ এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন তারা। কমিশনার জানান, পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের বিপুল সংখ্যক পুলিশের সমন্বয়ে অনুষ্ঠানস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। র্যাব ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড নির্ধারিত কর্মসূচির এলাকাস্থল সুইপিং করবে। এছাড়া, সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। ৩২ নং এলাকাজুড়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে এবং ২টি কন্ট্রোলরুম থেকে সিসিটিভিগুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। তাছাড়া অনুষ্ঠানস্থলে পুলিশের চেকপোস্ট পার হয়ে আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া চারপাশে পুলিশের অনেক চেকপোস্ট থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে ৩২ নং এলাকার বিভিন্ন হোটেল ও বাসাগুলোয় তল্লাশি চালিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে ট্রলিব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, ভ্যানিটিব্যাগ, টিফিন ক্যারিয়ার, ফ্লাক্স, দিয়াশলাইসহ যে কোনো দাহ্য পদার্থ, ছুরি-কাঁচি, আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা করা হয়েছে। ১৫ আগস্টে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি আছে কি না জনতে চাইলে কমিশনার বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো ঝুঁকি নেই। পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজন ও বাস্তবতার নিরিখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে।