চট্টগ্রামের বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে নেভাল একাডেমির ভেতরে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন তিনি।
এর মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও যুগোপযোগি একাডেমি প্রতিষ্ঠার কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।
২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর নেভাল একাডেমির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৬টি পৃথক ভবন ও টেকসই অবকাঠামোর সমন্বয়ে নির্মিত হয়েছে অত্যাধুনিক এ কমপ্লেক্স। এতে স্থাপন করা হয়েছে ব্রোঞ্জের তৈরি ১৮ ফুট উচ্চতার ও ১৮টন ওজনের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য।
এ যাবৎকালে বাংলাদেশে স্থাপিত ভাস্কর্যের মধ্যে এটিই সর্ববৃহৎ ভাস্কর্য। এর পরে প্রধানমন্ত্রী বানৌজা ঈসা খানে বিএন ডকইয়ার্ডকে আনুষ্ঠাকিভাবে ন্যাশন্যাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করেন। এর আগে সকালে চট্টগ্রাম পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ১৪টি অন্যান্য প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।
বুধবার সকাল পৌনে ১১টায় হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামের ঈশা খাঁ নৌঘাঁটিতে পৌঁছে প্রথমেই নেভাল একাডেমির নির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সর মূল একাডেমিক ভবন নির্মিত হয়েছে জাহাজের সম্মুখভাগের আদলে। দেখতে একটি বঙ্গোপসাগরে ভাসমান জাহাজের মতো। কমপ্লেক্সে ১৬টি পৃথক ভবন ও বিভিন্ন অবকাঠামো আছে। এতে আছে একাডেমিক ভবন, ট্রেনিং উইং, ওয়ার্ড রুম, প্যারেড গ্রাউন্ড সুইমিং পুল, রোটপুল ও বাসস্থান। আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে এতে আছে সিম্যানশিপ, এন্টি সাবমেরিন, গানারী ও কমিউনিকেশন মডেল রুম, চার্ট রুম, সুপরিসর লাইব্রেরি, কম্পিউটার ও ল্যাংগুয়েজ ল্যাব এবং অডিটোরিয়াম। এছাড়াও আছে প্রযুক্তি ও কারিগরি প্রশিক্ষণের জন্য সাতটি বিজ্ঞানাগার।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য, সেনা ও বিমানবাহিনী প্রধান এবং সামরিক-বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আছেন।
নৌবাহিনির কর্মসূচি শেষে বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় যাবেন। সেখানে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন।