আমদানি নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর পণ্য আমদানি সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে আটক ১২টি কন্টেইনারের মধ্যে কায়িক পরীক্ষার জন্য খোলা ছয়টি কন্টেইনারের তিনটিতে এলইডি টিভি ও বাকি তিনটিতে সিগারেট পাওয়া গেছে।
রোববার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ও সিসিটি ইয়ার্ডের মাঝখানের একটি স্থানে ছয়টি কন্টেইনার শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য খোলা হয়। ঘটনাস্থলে চট্টগ্রাম কাস্টমস, বন্দর, শুল্ক গোয়েন্দাসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন। তারা কন্টেইনারগুলোতে কি পরিমাণ পণ্য আছে তা গণনা করছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড.মঈনুল খান বলেন, কায়িক পরীক্ষার জন্য খোলা ছয়টি কন্টেইনারের তিনটিতে এলইডি টিভি ও তিনটিতে আমদানি নিষিদ্ধ সিগারেট পাওয়া গেছে। পণ্যগুলো গণনা করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে কত পরিমাণ শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুটি চালানে ১২টি কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। এরমধ্যে নয়টি কন্টেইনারে আমদানি নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর পণ্য রয়েছে এমন তথ্য আমাদের কাছে ছিল। এছাড়া বাকি ছয়টি কন্টেইনার সোমবার কায়িক পরীক্ষা করা হবে।
কাস্টমসের একটি সূত্র বলছে, কন্টেইনারগুলোতে আমদানি নিষিদ্ধ এবং ক্ষতিকর পণ্য থাকার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত ছিল। কারণ কন্টেইনারগুলো স্ক্যানিং করার আগেই নিষিদ্ধ পণ্য থাকার কিছু আলামত দেখা গেছে।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, প্রথম চালানের ৩টি কন্টেইনার গত শুক্রবার (৩ মার্চ) বন্দরে অবতরণ করে। তবে বহির্নোঙরে জাহাজ আসে ২৮ ফেব্রুয়ারি। এই চালানে আরো ৩টি কন্টেইনার রয়েছে।
অপর ৬টি কন্টেইনার গত বুধবার বহির্নোঙরে আসে। এখনো বন্দরে নামানো হয়নি। ৬টি কন্টেইনার ল্যান্ড করার আগেই বিশেষভাবে আটক করা হয়েছে।দুটি চালানের ক্ষেত্রেই জাহাজ দুটি সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্লাং হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।
কাস্টমসে দাখিল করা আইজিএম অনুযায়ী আমদানিকারক উভয় চালানের ক্ষেত্রে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। প্রথম চালানের আমদানিকারক ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার হেনান অ্যাগ্রো। সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান রাবেয়া এন্ড সন্স।