বার্সেলোনাকে কোপা দেল রের ফাইনালে নিয়ে গেলেও শিরোপা নির্ধারণীতে দর্শক ভূমিকায় থাকবেন লুইস সুয়ারেজ। অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ১-১ গোলের নাটকীয় ড্রয়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। ন্যু ক্যাম্পে উত্তেজনাপূর্ণ পুরো ম্যাচে দু’দলের তিনজনকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
সেমির দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ অ্যাগ্রিগেটে উল্লাসে মাতে কাতালানরা। এবারের আসরে তিনটি হলুদ কার্ডে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় খেলতে পারেননি নেইমার। এর আগে অ্যাতলেতিকোর মাঠে মেসি-সুয়ারেজের গোলে ২-১ ব্যবধানে আগেই ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ৫৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে বার্সাকে দশজনের দলে পরিণত করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সার্জি রবার্তো। তার আগে প্রথমার্ধের শেষদিকে লিড নেয় স্বাগতিকরা। লিওনেল মেসির শট অ্যাতলেতিকো গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি বলে গোল উদযাপন করেন সুয়ারেজ।
বার্সার পর বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ইয়ানিক কারাস্কোর লাল কার্ডে ৬৯ মিনিটে অ্যাতলেতিকোও হয়ে যায় দশজনের টিম। ৮০ মিনিটের মাথায় নিশ্চিত সময়তায় ফিরতে পারতো ভিজিটররা। পেনাল্টি মিস করে বসেন ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড কেভিন গ্যামেইরো।
তিন মিনিট বাদেই প্রায়শ্চিত্ত করেন গ্যামেইরো। স্বদেশী অ্যান্তোনি গ্রিজম্যানের ক্রসে বল জালে পাঠান তিনি। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়াতে অ্যাতলেতিকোর দরকার একটি মাত্র গোল। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে লাল কার্ডের খাতায় নাম লেখান সুয়ারেজ! বার্সা তখন ৯ জনের দল। কিন্তু, পাঁচ মিনিটের ইনজুরি সময়েও এ সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা।
আগামী ২৭ মে হ্যাটট্রিক শিরোপার লক্ষ্যে মাঠে নামবে বার্সা। প্রতিপক্ষ দেপোর্তিভো আলাভেস ও সেল্টা ভিগোর মধ্যকার বিজয়ী। গোলশূন্য ড্রয়ে দু’দলের প্রথম লেগ নিষ্পত্তি হয়।