প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স পেলো কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোন। সোমবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) থেকে এ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। হোটেল সোনরগাঁওয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোন ও নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমাদ। সভাপতিত্ব করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী।
এছাড়া বেজার নির্বাহী সদস্য ড. এম এমদাদুল হক, মো. হারুনুর রশিদ, মোহাম্মেদ আইয়ুবসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোন নিটল-নিলয় গ্রুপের একটি উদ্যোগ যা ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক সংলগ্ন পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৯১.৬৩ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোন দেশের সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়ন তথা শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও জিডিপি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে বেজা মনে করে। এই ইকোনমিক জোনের সঙ্গে বিদ্যুং ও গ্যাস সংযোগ রয়েছে, যা ইকোনমিক জোন থেকে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সরবরাহ করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট, বর্জ্য পরিশোধনাগার প্ল্যান্ট, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাসহ সব পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া এই জোনটি ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রেল লাইনের গোচিহাটা রেল স্টেশনের সঙ্গে নিজস্ব লাইন দ্বারা সংযুক্ত আছে। প্রস্তাবিত শিল্পখাতগুলোর মধ্যে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল, তথ্য প্রযুক্তি ও টেলি-যোগাযোগ, লেদার ও ফুটওয়ার, এগ্রোবেইজড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, ফার্মাসিউটিক্যাল, অটোমোবাইলস্, স্টিল, ইলেক্ট্রনিক্স, আইটি, ফার্নিচার, পাওয়ার প্ল্যান্ট ইত্যাদি ও রফতানি জাতীয় শিল্প খাত রয়েছে। বাণিজ্যিক উৎপাদনের প্রথম বছরে দক্ষ-অদক্ষ, নারী-পুরুষ মিলিয়ে মোট ২ হাজার জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, যা পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি হবে ।
মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোনের উদ্দ্যোক্তারা তাদের আগের ব্যবসার সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোন সফলভাবে বাস্তবায়নে সক্ষম হবে।’
পবন চৌধুরী বলেন, ‘উন্নয়নে পিছিয়ে থাকা কিশোরগঞ্জ জেলা এ ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার ফলে উন্নয়নের মূল স্রোতে আসতে সহযোগী ভূমিকা পালন করবে।’